মুম্বইয়ে বাড়তে থাকা হামের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার দিল্লি থেকে পাঠানো হল উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য দল পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে। পাশাপাশি এই দল জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ ও হাম মোকাবিলায় দরকারি পদক্ষেপ নিতে রাজ্যকে সাহায্য করবে । কনটেনমেন্ট এলাকা তৈরি করতেও পরামর্শ দিতে পারে এই বিশেষজ্ঞরা।
হাম রোগের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা কিছু প্রতিবেদনের মাধ্যমে সামনে আসতেই এমন সিদ্ধান্ত নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই রোগে মুম্বইয়ে এখনও পর্যন্ত তিনটি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যু হামের কারণে না হামঘটিত এনসেফালাইটিস, নিউমোনিয়া ও অন্ধত্বের কারণে হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, হামের টীকাকরণ মুম্বই এলাকায় ১০০ শতাংশ করা হয়েছে, এর পরেও এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। তিন বিশেষজ্ঞের দলটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আজ বিকেলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে।
তিন সদস্যের এই বিশেষ দল ইন্টিগ্রেটেড ডিসিস সার্ভেল্যান্স প্রোগ্রাম (আইডিএসপি), এনসিডিসি-এর ডেপুটি ডাইরেক্টর ডাঃ অনুভব শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে। নয়া দিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল, লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ এবং মহারাষ্ট্রের রিজিওনাল অফিস ফর হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার থেকে তিন বিশেষজ্ঞ নিয়ে তৈরি করা হয় দলটি। মন্ত্রক সূত্রের খবর, তিন বিশেষজ্ঞের দলটি প্রয়োজনে হাম আক্রান্ত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণেও যাবে। এছাড়া হাম সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতেও সাহায্য করবে এই দল।