২৪ বছর আগে মোটরসাইকেল নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আলাপ। তখনই গ্যাব্রিয়েলা আর ভিক্টর উগো পেরালতা টের পেয়েছিলেন, তাঁরা পরস্পরের জন্যই জন্মেছেন। কারণ তাঁধের দু’জনের একটিই শখ। সেটি হল শরীরকে নিজের ইচ্ছামতো বদলানো। বলা ভালো, শরীরকে ইচ্ছামতো সাজানো। আর সেই লক্ষ্যে হাঁটতে হাঁটতে বিশ্বরেকর্ড করে ফেললেন তাঁরা।
আর্জেন্টিনার যুগল এখন সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম আকর্ষণ। ২০১৪ সালে জানা গিয়েছিল, তাঁরা যৌথভাবে শরীরে ৮৪টি বদল এনেছেন। তখনই সেটি একটি বিশ্বরেকর্ড হয়ে যায়। যদিও সেই রেকর্ড পরে ভাঙে। কিন্তু ২০২২ সালে এসে নিজেদের হারানোর রেকর্ড ফিরে পেয়েছেন তাঁরা। এখন তাঁরা দু’জনে শরীরে ৯৮টি বদলের মালিক।
ভিক্টর জানিয়েছেন, এই বিশ্বরেকর্ড তাঁর কাছে অত্যন্ত বড় স্বীকৃতি। যে বডিআর্টের জন্য তাঁরা দু’জনে সারা জীবন দিয়ে দিচ্ছেন, সেটি যে এভাবে তাঁদের স্বীকৃতি এনে দেবে, এটিই তাঁদের কাছে বড় পাওনা। রেকর্ডের দৌলতে ইতিমধ্যেই তাঁরা ২০টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন। তাঁদের এই শিল্পকর্মে নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। সব মিলিয়ে তাঁরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বড় আলোচনার বিষয়।
কী কী করেছেন তাঁরা? দেখে নেওয়া যাক তালিকা:
পিয়ার্সিং: ৫০টি
মাইক্রোমডেল বসিয়েছেন: ৮টি
বডি ইমপ্লান্টস: ১৪টি
দাঁতে ইমপ্লান্টস: ৫টি
কান এক্সপ্যান্ডার: ৪টি
ইয়ার বোল্টস: ২টি
জিভে অলংকার: ১টি
তাঁদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।অনেকেই বলেছেন, এমন অভিনব কাজ কেউ যে করতে পারেন, কখনও ভাবেননি। বহু মানুষই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের ছবি।