আগামী বছর আসতে আর মাত্র কয়েক দিনই বাকি। এদিকে কোভিডের পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে কেটি যাচ্ছে। হালে কলকাতায় এমন দিনও গিয়েছে, যেদিন নতুন করে কোভিডে সংক্রমিতের সংখ্যা নেমে এসেছে শূন্যয়। ফলে সব মিলিয়ে ভয়ের পরিস্থিতি কেটে যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি কি তাই? মোটেই তা নয়। আগামী বছর শুরু আগই সেই বিষয়ে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২২ সালের একটি ভুল আগামী বছরে বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
কী সেই ভুল? সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র বিজ্ঞানী মারিয়া ভ্যান কেরখোভে জানিয়েছেন তাঁর উদ্বেগের কথা। বলেছেন, বিদায়ী বছরে কোভিডের একটি বিষয়কে অনেকেই উপেক্ষা করেছেন। আর এটিই আগামী বছরে সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
কী সেই বিষয়টি? পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে কোভিডের সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষা প্রায় ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর এর ফলেই আগামী বছরে সমস্যা হতে পারে। কোভিড আবার বড় আকার নিয়ে ফিরে আসতে পারে।
কেন সমস্যা দেখা দিতে পারে কোভিড নিয়ে?
বিজ্ঞানী বলছেন, চলতি বছরে কোভিডের সিক্যুয়েন্সিং না হওয়ায় কোভিড কীভাবে নিজেকে বদলাচ্ছে, তা টের পাওয়া যায়নি। কোভিডের রূপ বদল বোঝার জন্য এই জাতীয় পরীক্ষা খুবই জরুরি। ২০২২ সালে কোভিডের এই সিক্যুয়েন্সিং পরীক্ষার সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেই রূপ বদলটিই ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না।
এই রূপ বদল বোঝা গেলে, তার সঙ্গে সঙ্গে টিকার ধরনও বদলানো যেতে পারে। কোভিড কোন পথে নিজেকে বদলাচ্ছে, তা টের পাওয়া গেলে, এটির চিকিৎসা পদ্ধতিতেও চিকিৎসকরা বদল আনতে পারেন। কিন্তু সেটি না হওয়ায় কোভিড সম্পর্কে এখন আবার অনেক কিছুই হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।