1/8 শরীরকে চাঙ্গা রাখতে দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পানের কথা বলা হচ্ছে। বহু গবেষণা দাবি করছে অতিরিক্ত জল পান করাও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এই সমস্ত তথ্যের মধ্যেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, জল পান করার নির্দিষ্ট একটি ধরণ রয়েছে।
2/8 খাওয়ার কতক্ষণ পরে পান করবেন জল- আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁদের শরীর মেদহীন তাঁরা বড় আহারের ৩০ মিনিট পর পান করুন জল। আর যাঁদের শরীর মেদবহুল ও তাঁরা মেদ ঝরাতে চাইছেন তাঁরা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর জল পান করুন।
3/8 জল পানের সময় খেয়াল রাখুন এই দিকটি- জল পান দাঁড়িয়ে করার থেকে বসে করা সব সময়ই ভাল। বলছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র। এছাড়াও ঢকঢক করে জল খাওয়ার থেকে বেশি ভাল অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে জল খাওয়া। সারা দিনে অল্প জল চুমুক দিয়ে দিয়ে খেয়ে নির্দিষ্ট লিটারের জল শেষ করার মধ্যেই সুস্বাস্থ্যের গুণ লুকিয়ে রয়েছে। ছবি- পিক্সাবে
4/8 ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল খাওয়ার নিয়ম- দিনে ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, নির্দিষ্ট ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করতে হবে বলে দিনের শেষে এসে হুড়মুড়িয়ে ২-৩ গ্লাস জল একসঙ্গে পান করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।
5/8 ঠাণ্ডা নাকি গরম জল- ফ্রিজ থেকে বের করা জল যেকোনও মরশুমের পক্ষে খুবই খারাপ বলে মত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের। এতে হজমশক্তি কমতে থাকে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও গরমকালে ফ্রিজ নয়স বরং মাটির পাত্র কিম্বা তামার পাত্রে জল রেখে পান করার কথা বলছেন তাঁরা। এমনকি স্টিলের পাত্রেও জল পানের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
6/8 কল থেকে জল খাওয়ার অভ্যাস- কোনও কল বা ঝরনায় মুখ রেখে পড়ন্ত জল পান করা উচিত নয় বলে পরামর্শ আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের। যে জল কোথাও ভরে রাখা রয়েছে সেই জল পান করলে তা শরীরের পক্ষে ভাল ফল দিয়ে থাকে।
7/8 ফোটানো জল- যে জল ফুটন্ত অবস্থায় এক তৃতীয়াংশ নেমে যায় সেই জল খানিকটা কোথাও ভরে রেখে পান করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও সকালে ঘুম থেকে উঠে ঈষদুষ্ণ জল পানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।