ভেজা চুল খুব স্পর্শকাতর হয়। একটু অযত্নেও আপনার সাধের চুলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। দেখে নিন কোন পাঁচ কাজ ভুলেও করবেন না।
1/7চুল ভেজা অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং ক্ষতিমুক্ত রাখতে, আপনাকে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতেই হবে। তাই আসুন দেখে নিন চুলের যত্নের কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।
2/7ভেজা চুলকে বিভিন্ন উপায়ে স্টাইল করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন ভেজা অবস্থায় এটি ভেঙে যাওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে। বিশেষ করে যখন এই অবস্থায় খুব বেশি চিরুনি বা ব্রাশ করা হয়। এই ক্ষতি কমাতে, চুল শোকানোর জন্য তাপ কমিয়ে হেয়ার ড্রাই ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
3/7ভেজা চুলে চিরুনি না দিলে অনেকেরই শোকানোর পর তাতে জট বেঁধে যায়। সেক্ষেত্রে আপনার চুলের জন্য মানানসই কোনও লিভ ইন কন্ডিশনার লাগান চুল ভালো করে মুছে নিয়ে। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন।
4/7হিট স্টাইলিং টুল যেমন হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার এবং কার্লিং আয়রন ভেজা চুলের ক্ষতি করতে পারে, কারণ তাপ চুলে থাকা জলকে গরম করে, যার ফলে চুল আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং জটও লেগে যায়। আপনার যদি এই সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তবে নিশ্চিত করুন যে আপনার চুল কমপক্ষে ৮০ শতাংশ শুকিয়ে গিয়েছে।
5/7ভেজা চুল শুকনো চুলের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়। তাই ভেজা চুলকে পনিটেল করে রাখা বা হেয়ার ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখা চলবে না। বরং চুল খানিকটা শুকিয়ে এলে তবে নরম স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করতে পারেন। ভেজা চুলে বালিশে মাথা রাখলেও চুলের ক্ষতি হয়।
6/7ভেজা চুলে ঘুমোতে যাওয়াও একেবারে উচিত নয়। জট ও ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে এবং ছত্রাক বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই শুতে যাওয়ার আগে চুল বাতাসে শুকিয়ে নিন। আর সবসময় সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
7/7ভেজা চুলে রাস্তাতেও বেরোবেন না। কারণ এতে বাইরের ধুলোময়লা চুলে আরও বেশি করে জমা হয়। যা চুলের সামগ্রিক ক্ষতি করে। সঙ্গে রুক্ষ্ম আর শুষ্ক হয়ে পড়ে চুল এর ফলে। তাই বাড়ি থেকে বেরনোর আগে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিন।