‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সুরে নেটপাড়া মাতাচ্ছে ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’। এর আখে ভাইরাল হয়েছিল ‘মোয়ে মোয়ে’। এর পর বাজারে নয়া ট্রেন্ড ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি (inky pinky ponky)’। বিভিন্ন ধরনের ভিডিয়োতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই গান। কিন্তু কীভাবেই বা ট্রেন্ডে এল এই গান? সেই রহস্যই এবার ফাঁস হল।
‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’ গানটা আদতে কী?
নেটদুনিয়ার ভাইরাল ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’ গানটি আদতে একটি নার্সারি রাইম। একরত্তি খুদে শিশুদের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়। গানের লিরিক্সটাও জেনে নেওয়া যাক এই ফাঁকে।
মূল নার্সারি রাইমের লিরিক্স হল ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি/ড্যাডি বট আ ডঙ্কি/ডঙ্কি ডায়েড ড্যাডি ক্রায়েড/ ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি/ইঙ্কি পিঙ্কি প্যাঙ্কি/ড্যাডি বট এ হ্যাঙ্কি!’
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সুরেই
অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে রিলিজ হয়েছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমাটি। এর টাইটল ট্র্যাকের গান অলকা ইয়াগনিক ও উদিত নারায়ণের গলায় ভীষণ জনপ্রিয়। সেই গানের সুরেই বসানো হয় ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’র লিরিক্স। এই গানের ট্রেন্ডে মেতেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলেই।
যেমন ধরা যাক শিখর ধাওয়ানের কথাই। সম্প্রতি তিনি একটা ইনস্টাগ্রাম রিল বানিয়েছেন। তাতে তাঁকে হারমোনিয়াম বাজানোর অভিনয় করতে দেখা যায়। বাজানোর চেষ্টা করলেও যে বাজাতে পারছেন না, তা তার মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। পোস্টটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ব্রেন নট ব্রেনিং’। অর্থাৎ মাথা কাজ করছে না। প্রসঙ্গত, মাথা কাজ করে না এমন মুহূর্তেই এই গানটি ব্যবহার করার ট্রেন্ড। সেই ট্রেন্ড অনুযায়ী শিখরের পোস্টেও ছিল ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’ ব্যাকগ্রাউন্ড। পোস্টটিতে লাখ লাখ লাইক ও কমেন্ট করেন নেটিজেনরা।
এর পরই এক সংবাদমাধ্যম আবিষ্কার করে ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি’ ট্রেন্ডের উৎস। ২০২২ সালেই নাকি এই ট্রেন্ডটির শুরু হয়। শুরু করেন এক ব্যক্তি। তিনি অবশ্য ভারতের নন। সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের গায়ক হুসেন ভ্যালির গলায় প্রথম শোনা যায় এই গান। সেখান থেকেই এই গানের ট্রেন্ডটি শুরু হয় বলে দাবি।
তবে সেই গানের লিরিক্স কিছুটা আলাদা ছিল। হুসেনের গাওয়া গানের লিরিক্স ছিল — ‘ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি/ড্যাডি বট আ ডঙ্কি/ডঙ্কি ডায়েড ড্যাডি ক্রায়েড/ ইঙ্কি পিঙ্কি পঙ্কি/ড্যাডি সেড টু মামি/লঙ্গিং ফর মাই ডঙ্কি/ক্যায় করুন হায়/দুখ দুখ হোতা হ্যায়!