HT বাংলা থেকে সেরা খবর পড়ার জন্য ‘অনুমতি’ বিকল্প বেছে নিন
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Amar Sarkar Amar Dorkar: রামলালা যতটা গুরুত্ব পান, মা সরস্বতীও যেন পান, আদর্শ 'দেশ' হয়ে উঠুক আমার ভারত

Amar Sarkar Amar Dorkar: রামলালা যতটা গুরুত্ব পান, মা সরস্বতীও যেন পান, আদর্শ 'দেশ' হয়ে উঠুক আমার ভারত

Amar Sarkar Amar Dorkar: দেশে লোকসভা নির্বাচন চলছে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল থেকে। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ভোটগণনা ৪ জুন। সেদিনই বোঝা যাবে যে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় ফিরবেন নাকি নয়া সরকার ক্ষমতায় আসবে? যে সরকারই আসুক, তার কাছে কী প্রত্যাশা থাকবে? লিখলেন শমিত ঘোষ।

'আমার সরকার, আমার দরকার'- নয়া সরকারের কাছে কী প্রত্যাশা, লিখলেন শমিত সরকার। (গ্রাফিক্স সুমন রায়)

আবারও একটা সাধারণ নির্বাচন। আবারও কিছু প্রত্যাশা। হয়তো নতুন কোনও দল সরকারে আসবে। অথবা গত ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলই পুনরায় সরকার গঠন করবে। এদেশের সিংহভাগ মানুষ আজও 'গণতন্ত্র' বলতে বোঝেন ভোট দেওয়াকেই। তাই গণতন্ত্রের উৎসবে আপাতত সামিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, সরকারের থেকে আমজনতার কিছু প্রত্যাশা তো থাকেই। হয়তো সেইটুকু আশা বা প্রত্যাশাও এই সময়ে দাঁড়িয়ে করাটা বাতুলতা। কারণ, সরকার চলবে আপন খেয়ালে। সেখানে আম নাগরিকের প্রত্যাশা কোনদিনই বা ক্ষমতাসীনের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে? তবুও প্রতিটা সাধারণ নির্বাচনের আগে, আমাদের আশাতুর মন কিছু প্রত্যাশা করে নতুন সরকারের কাছে।

মধ্যবিত্ত যেমন চায় আয়করে আরও একটু ছাড় আর বৃহৎ পুঁজিপতি চায় বিনা সুদে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ! সেইসব ঋণ মঞ্জুরও হয়ে যায়।খালি মেধাবী কোনও ছেলে বা মেয়ের ‘এডুকেশন লোন’-এর বেলায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার নানারকম কাগজ চায়! কোনও-কোনও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তো বাড়ির দলিল পর্যন্ত বন্ধক রাখতে বলেন! ছেলে-মেয়েকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা বিদেশে পড়তে পাঠানোর জন্য কত বাবাকে নিজের পৈতৃক বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দলিল-পরচা জমা করতে হয় ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের টেবিলে। তবে মেলে ঋণ! নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, এই ঋণ কাঠামোটা সহজ হোক। বৃহৎ পুঁজিপতিরা যদি স্রেফ রাজনৈতিক বদন্যতায় কয়েক হাজার কোটি ঋণ পেয়ে যেতে পারে, তাহলে আমার দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের ঋণ পেতে হলে এত কাঠখড় পোড়াতে হবে কেন?

'রামলালা' এদেশে যতটা গুরুত্ব পান, মা সরস্বতীও যেন পান এবং সেটা শুধু মন্দিরে নয়, সরস্বতীর ফলিত প্রয়োগ চাই। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলগুলোতেও চাই ডিজিটাল ক্লাসরুম। বুনিয়াদি শিক্ষায় জোর না দিলে কোনও দেশ এগিয়ে যায় না। এগিয়ে যেতে পারে না! আর একইসঙ্গে চাই গবেষণার সুযোগ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় গবেষণার সুযোগ আজও সীমিত। স্বাভাবিকভাবেই বহু মেধা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। চলতি কথায় 'ব্রেইন ড্রেন' হয়ে চলে যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

সরস্বতীর সঙ্গে-সঙ্গে লক্ষ্মীর জোগানও চাই। নানা আমি 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-র কথা বলছি না। বলছি অর্থনীতির কথা। বর্তমান সরকার দাবি করে যে এই মুহূর্তে আমাদের দেশের অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ। কিন্তু মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা। বিজেপি দাবি করেছে, এইবার সরকারে এলে তারা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত করবে। 

কিন্তু এখানেই প্রশ্ন আসে, যেখানে একদিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছি আমরা,সেখানে বর্তমান সরকারই দাবি করছে দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে! অর্থাৎ ৮০ কোটি মানুষ খাদ্যের ব্যাপারে রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল! বিশ্বের প্রথম পাঁচটি বৃহৎ অর্থনীতির কোনও দেশে এমনটা সম্ভব? 

সম্ভব নয়! ফলে এই পঞ্চম থেকে তৃতীয় হওয়ার ইঁদুর দৌড় ভুলে, বরং নয়া সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা এটাই যে সকলের হাতে কাজ থাকুক। কৃষক তাঁর ফসলের দাম পাক। এতবড় দেশে সকলের হাতে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই যুব সমাজকে 'আত্মনির্ভর' হওয়ার রাস্তা দেখাক নতুন সরকার। যাতে আগামীদিনে আর ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য-আনাজ দিতে না হয়,বরং এদেশের প্রতিটি মানুষ যেন স্বনির্ভর হতে পারেন। নিজেদের ব্যবস্থাটুকু নিজেরাই করে নিতে পারে। 

একটি তথ্য অনুযায়ী, গত ৫০ বছরের সর্ব্বোচ্চ বেকারত্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ। আবার এদেশের প্রায় ৬৫% এই মুহূর্তে তরুণ। অর্থাৎ যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। এই বিপুল পরিমাণ তরুণের স্বপ্ন নির্ভর করছে নয়া সরকারের ওপর। নতুন উদ্যোগপতিদের পাশে দাঁড়াক সরকার, তাঁদের জন্য জমি বা প্রয়োজনে ঋণের ব্যবস্থা করাটাও দরকার। মোদ্দা কথা, প্রত্যাশার পারদ চরমে।

কারও 'গ্যারান্টি'-তে মন ভুলতে পারে দেশবাসীর বা কারও ‘ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকানে’-র ক্রেতা হতে পারেন আমজনতা। সেই উত্তর তো ৪ জুনের পরে পাওয়া যাবে। কিন্তু নয়া সরকারের কাছে আবেদন থাকবে, অন্তত সেই সরকার যেন, ভারতের গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলিকে অটুট রাখে। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা সবসময় চাই, রাজনীতির পরিসরটা দুর্নীতিমুক্ত হোক।বর্তমান সরকার যখন প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন রাজ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, তখন মনে আশা জাগে।

কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গত ১০ বছরে দেখেছি, যে সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা এজেন্সির রেডারে এসেছেন, তাঁরা যখনই শাসক দলে যোগ দিয়েছেন, সঙ্গে-সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে! উলটে সেই সমস্ত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারাই হয়ে উঠেছেন শাসক বিজেপির সম্পদ। শুভেন্দু অধিকারী থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অজিত পাওয়ার থেকে প্রফুল্ল প্যাটেল- তালিকাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর। আর যাঁরা শাসকদলের সঙ্গে আপস করেননি, তাঁদের নয় জেলে যেতে হয়েছে, নয়তো বারবার এজেন্সি তাঁদের নানাভাবে ব্যস্ত রাখছে। নয়া সরকার অন্তত এটুকু নিশ্চিত করুক যে যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁরা যে দলেরই হোক না কেন, তাঁদের যেন শাস্তি হয়। স্রেফ রাজনীতির অস্ত্র হিসেবে এজেন্সির ব্যবহার বন্ধ হোক।

একইভাবে বন্ধ হোক ধর্মীয় মেরুকরণ, জাতপাত-ধর্মের রাজনীতি। লজ্জা লাগে, খারাপ লাগে যখন দেখি, দেশের প্রশাসনিক প্রধানকেও স্রেফ ভোট রাজনীতির জন্য সংখ্যালঘু শ্রেণিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে হয়। ভারতের সংসদে দাঁড়িয়ে একজন সাংসদ তাঁরই এক সতীর্থ সাংসদকে তাঁর ধর্ম তুলে একের পর এক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পরেও পার পেয়ে গেলেন। তখন ভ্রম হয়, এই দেশের সংবিধানে নিহিত যে ধর্মনিরপেক্ষতা-সার্বভৌমত্বের কাঠামো, তা আদৌ সুরক্ষিত তো? নাকি সেই কাঠামোকে ভেঙেচুরে এক নব্য সংবিধান রচনায় মনোযোগী রাজনীতির কারবারিরা! যেখানে 'হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ে'-র মিথ্যে প্রোপাগান্ডায় প্রভাবিত হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও! 

বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক সদ্য প্রাক্তন বিচারপতিকে যখন সঞ্চালক জিজ্ঞেস করেন, 'গান্ধী না গডসে?’ তাঁর উত্তরে সেই প্রাক্তন বিচারপতিকে বলতে হচ্ছে, এটা আমায় ভেবে বলতে হবে! আমাদের প্রত্যাশা এইটুকুই যে, গান্ধী এবং গডসের মধ্যে কখনও তুলনা এলে আমাদের যেন কখনও ভাবতে না হয়! 'মহাত্মা' এবং এক 'হত্যাকারী'-র মধ্যে আমরা যেন তুলনাটাই না করি, তা যেন নিশ্চিত করে নয়া সরকার। হিংসা-ঘৃণা-অসূয়া-অসহিষ্ণু থেকে মুক্ত হোক আমাদের দেশ। 'দ্বেষ' নয় একটা আদর্শ 'দেশ' হয়ে উঠুক ভারতবর্ষ।

(লেখক শমিত ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, লেখকের মতামত ব্যক্তিগত)

টুকিটাকি খবর

Latest News

মেষ-বৃষ-মিথুন-কর্কট রাশির কেমন কাটবে শনিবার? জানুন রাশিফল শেষ দফার ভোটের আগেই LPG রান্নার সিলিন্ডারের দাম কমল! সবথেকে লাভ কলকাতায়, কত দর? T20 WC 2024: টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দিলেন কোহলি, বিরাট কি অনুশীলন ম্যাচ খেলবেন? ‘নাড়ীতে মোর রক্তধারায় লেগেছে তার টান…’, পিয়ার গানের সুরে সঙ্গী পরমব্রত অভিষেক-রেখা, আর কার ভাগ্যপরীক্ষা সপ্তম দফায়? বহুতলে থাকবে বিশেষ নজরদারি পঞ্চায়েতের ‘বিনোদ’-এর জীবনে লড়াই কম ছিল না ৯ বছরে অনাদায়ী ঋণ সংক্রান্ত মামলায় ১০ লাখ কোটি উদ্ধার করেছে ব্যাঙ্কগুলি-নির্মলা ওদের আমায় আর দরকার হবে না- ICC Champions Trophy 2025-তে খেলা নিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র ২০২৪: ভোটের ফ্যাক্টর, অতীতের ফলাফল - একনজরে সব তথ্য নিটের মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে মিসিং, বইপত্র বিক্রি করে ২৩ দিন দেশভ্রমণ,দেখা মিলল…

Latest IPL News

স্টার্কের এই ডেলিভারিকে কিছুতে ভুলতে পারছেন না গম্ভীর! এটা কি IPL 2024-র সেরা বল IPL 2024: কেন এমন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছিল SRH? রহস্য ফাঁস করলেন অভিষেক শর্মা জিতেশ শর্মা,রবি বিষ্ণোই,ধ্রুব জুরেল…আইপিএলে ব্যর্থ যুব ক্রিকেটারের দীর্ঘ তালিকা বাটলারের অনুপস্থিতি, বিদেশীদের ব্যর্থতা, অশ্বিনের অফ ফর্ম! রাজস্থানের হারের কারণ T20 WC 2024: শুরু আগেই বড় ধাক্কা! এখনও সম্পূর্ণ ফিট হতে পারেননি অজি অধিনায়ক নাইটদের কথা মানবে না বিসিসিআই, সম্ভবত আগের নিয়মেই হবে প্লেয়ার রিটেনশন-রিপোর্ট ইংল্যান্ড দলের ভালো প্রস্তুতির জন্য IPL কে কৃতিত্ব দিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ তারকা নেতৃত্বে কামিন্স, আইপিএল ২০২৪-এর সেরা একাদশে KKR-এর দুই বিদেশি রাসেল-নারিন টাকার জন্য অধিনায়ককে ছেড়ে দেওয়া, শামির চোট, ঋদ্ধির অফ ফর্ম…GT-র ব্যর্থতার কারণ ভুল দল বাছাই, সঠিক নেতার অভাব, দায়িত্বজ্ঞানহীন ম্যাক্সওয়েল,RCB-র ব্যর্থতার কারণ

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.
প্রচ্ছদ ছবিঘর দেখতেই হবে ২২ গজ