অপটিক্যাল ইলিউশন অর্থাৎ চোখকে ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো জিনিস। ছবি বা ভিডিয়োতে থাকবে একটা জিনিস আর দেখে মনে হবে আরেকটা জিনিস। আপনার চোখের সামনে থাকা জিনিসটা এমন কায়দায় থাকবে যেন আদতে সেটা ‘নেই’। অর্থাৎ নেই হয়ে থাকবে আসল জিনিসটা। কথা গুলো পড়ে পুরো ধাঁধার মতো লাগছে তাই না? আদতে এর থেকেও বড় ধাঁধা হল ওই চোখের ধাঁধা বা অপটিক্যাল ইলিউশন। ইদানীং সমাজ মাধ্যমে প্রায়ই এমন চোখের ধাঁধা বা অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হচ্ছে। নেটিজেনদের বড় অংশ সেগুলি সমাধান করতেও লেগে পড়েন। প্রসঙ্গত সমাজ মাধ্যমের আগে পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিনে এই ধরনের জিনিসগুলো খুঁজে বের করতে হত। ছোটবেলায় অনেকেরই নিশ্চিত সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
(আরও পড়ুন: বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে দশা হেঁশেলের ! ৪ উপায়ে ভালো রাখুন আপনার রান্নাঘর )
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ঝুড়ি চেরিফলের ছবি। সেই গাদা গাদা চেরি ফলের মধ্যে নাকি লুকিয়ে রয়েছে একটি মাত্র টমেটো। আর সে টমেটো খুঁজে বার করে দেখিয়ে দেওয়াটাই অপটিক্যাল ইলিউশনের নয়া চ্যালেঞ্জ। বাজারে টমেটো ছুঁলেই ছ্যাকা। শাকসবজিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। খবরের কাগজের পাতা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে টমেটোর দামের কথা শিরোনামে সর্বত্র। সেই আবহেই ছড়িয়ে পড়ল এই নয়া ধাঁধা। এই ধাঁধা পকেটে ধাঁধা লাগাবে না। কিন্তু আপনার চোখকে ধাঁধাবেই।
(আরও পড়ুন: কম কম খেলেই এড়ানো যাবে ভুলে যাওয়ার রোগ! গবেষণায় নয়া তথ্যের হদিশ বিজ্ঞানীদের )
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে প্রচুর পরিমাণে লাইক ও শেয়ার পেয়েছে। এমনকী কমেন্টেও অনেকে ধাঁধার সমাধান খুঁজেছেন। কেউ কেউ এর মধ্যে মজার কমেন্টও করেছেন। যেমন এক নেটিজেন লেখেন, ‘এত দামি টমেটো কী আর চেরি ফলের ভিড়ে রয়েছে? সে উধাও হয়ে গিয়েছে।’ আরেকজন বলেন, ‘এগুলো সবই টমেটো। কিন্তু দামের জন্য আকারে অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে।’ চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক, কোথায় লুকিয়ে রয়েছে আসল টমেটোটি। অনেক নেটিজেন বলছেন, খুঁজে বার করতে পারলে কেউ কেউ পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।

এই সেই টমেটো
উপরের ছবিতে প্রচুর পরিমাণে চেরি ফল রয়েছে বলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবেই। তবে একটু ভালো করে লক্ষ করলেই দেখা যাবে এর মধ্যে কোনটি আকারে বড়। চেরি ফল আকারে ছোট হয়। টমেটো তার থেকে আকারে বড়। সেই বড় আকারের লাল গোল বস্তুটিই হল টমেটো। ছবিতে কোনটি টমেটো সেটি সাদা দাগ দিয়ে গোল করে দেওয়া হয়েছে। দেখলেই বোঝা যাবে এটাই সেই কাঙ্খিত টমেটো।