টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা নিরাময়ে গত নয় বছর ধরে জোরদার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নি-ক্ষয় মিত্র’ প্রকল্প এই রোগের প্রকোপ কমাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। শুক্রবার বেনারসের ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি সামিট’-এ এমন কথা দিয়েই তাঁর বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিন ‘টিবি-মুক্ত পঞ্চায়েত’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এই প্রকল্প মারফত সারা ভারতে টিবি রোগের প্রকোপ কমাতে একটি পরিবারকেন্দ্রিক চিকিৎসা মডেলের উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে এই দিন ভারতের বার্ষিক টিবি রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: টিবি হলে এই উপসর্গগুলি অনেকেই এড়িয়ে যান, আপনিও সেই দলে নেই তো
আরও পড়ুন: টিবির জীবাণু শরীরেই রয়েছে, অথচ টের পাচ্ছেন না! কী কারণে এমনটা হয় জানেন
টিবি নিরাময়ে ভারতের নতুন উদ্যোগের কথা সারা বিশ্ব জানুক, এমন কথাই বলেন মোদী। তাঁর কথায়, গত নয় বছরে ভারত নানাভাবে টিবি নিরাময়ে কাজ করেছে। কখনও নাগরিকদের এই প্রকল্পে জড়িয়ে নিয়েছে, কখনও বা প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও মোদী বলেন, ‘ফিট ইন্ডিয়া, খেলো ইন্ডিয়া ও যোগার মতো লক্ষ্যও স্থির করা হয়েছে টিবি নিরাময়ে।’ যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিসে আক্রান্তদের সংখ্যা কমাতে নাগরিকদের ভূমিকাও নেহাত কম নয়। সে কথাই এই দিন উঠে আসে মোদীর বক্তব্যে। বক্তৃতার শুরুর দিকেই তিনি বলেন, ‘আমরা ‘নি-ক্ষয় মিত্র’ প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের একজন করে টিবি রোগী দত্তক নিতে উৎসাহ দিয়েছি। এই প্রকল্পে মোট ১০ লাখ রোগীকে দত্তক নিয়েছে দেশের মানুষরা। শুনলে অবাক লাগতে পারে, ১০-১২ বছরের বাচ্চারাও এই প্রকল্পে সাহায্য করেছিল। এই খাতে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ১ লাখ কোটি ছাড়িয়েছে। ভারতের নাগরকিদের এভাবে এগিয়ে আসা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।’
আরও পড়ুন: এইচ৩এন২ ও কোভিডের জোড়া হামলা, কোন চিকিৎসা কাজে দেয় এ বিপদে? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ
আরও পড়ুন: চোখ ফুলে লাল? ব্যথা কমছেই না? এই ঘরোয়া টোটকাগুলি জানেন না বলেই হয়তো
এই দিন মোদী সরাসরি সাহায্যের অঙ্কও তুলে ধরেন। ‘নি-ক্ষয় মিত্র’ প্রকল্পে প্রায় ২ লাখ কোটির টাকা ৭৫ লাখ রোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়েছে। এরপরেই ‘টিবি-মুক্ত পঞ্চায়েত’ নামের নয়া প্রকল্পের কথা বলেন মোদী। ভারতের কোনও গ্ৰামে একজনও টিবি রোগী থাকবে না। এই লক্ষ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে নয়া প্রকল্প। এর জন্য দেশে টিবি ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ও বেশি টিবি রোগী আছে, এমন জায়গায় পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে বলে জানান মোদী। তাঁর কথায়, ‘বিশ্ব ২০৩০ সালের মধ্যে টিবি রোগ সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত সে কাজই ২০২৫ সালের মধ্যে করে দেখাবে।’ নয়া প্রকল্প মারফত সেই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup