১৪ এপ্রিল বহু দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন বহু দেশেই নতুন বছরের সূচনা। কোন কোন দেশে জানেন কি?
1/8 শুধু ভারত আর বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ১৪ এপ্রিলে নতুন বছরের সূচনা উৎসব হয়। এই দিনগুলি তাই সে সব দেশের ক্যালেন্ডারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশগুলির প্রতিটিতেই এ দিন নানা উৎসব হয়। দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।
2/8 বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনটি বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এক সময়ে এটি তেমন কোনও উৎসব ছিল না। বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ তখন ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পয়লা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন জনপ্রিয় হয়নি। এর পরে ঢাকায় নতুন বছরকে বরণ করার রীতি চালু হয়। যা এখন সার্বজনীন উৎসবের চেহারা নিয়েছে।
3/8 এ দিন মায়ানমারেও নববর্ষের উৎসব হয়। স্থানীয় ভাষায় একে থিংইয়ান নামে ডাকা হয়। এর অর্থ ‘পরিবর্তন’ বা ‘স্থানান্তর’। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো জল উৎসবের একটি। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে পালন করে হচ্ছে এই উৎসব। মানুষের বিশ্বাস, এ উৎসবের জলের ছোঁয়া লাগলে সব পাপ দূর হয়ে যাবে। এপ্রিলে এ দেশের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। সেটিও এ সময়ে জল উৎসবের একটি কারণ।
4/8 তাইল্যান্ডেও এদিন নতুন বছরের শুরু। উৎসবের নাম সংক্রান। সংক্রান্তি শব্দটি থেকেই এটি এসেছে। এ সময়ে দেশে ছুটি থাকে। থাই এবং মালয়েশিয়ান সিয়ামিজ গোত্রের মানুষ মূলত ধর্মীয় রীতি মেনে এ উৎসব পালন করেন। এ সঙ্গে চলে জল উৎসবও।
5/8 শ্রীলঙ্কায় এ দিন সরকারি ছুটি। কারণ সেখানেও এদিন নতুন বছরের সূচনা। সিনহালা নববর্ষের সঙ্গে তামিল নববর্ষের উদ্যাপনের অনেক মিল রয়েছে। উৎসবে নানা রকম পিঠে, মিষ্টি আর পায়েস বানানো হয়।
6/8 কম্বোডিয়ার খেমর নববর্ষ। এটিও ১৪ এপ্রিল পালিত হয়। উৎসবের শুরু হয় বৌদ্ধ মন্দিরে ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে। এর পরে মন্দির চত্বরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানান অধিবাসীরা। এ দিন নানা ধরনের খেলাও হয়।
7/8 নেপালেও নববর্ষ উপলক্ষে সরকারি ছুটি এদিন। বৈশাখ উৎসব হয় দেশজুড়ে। বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান হয় দিনটিতে। ভালো খাওয়া-দাওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময় আর নানা খেলাধুলোর আয়োজন করা হয়।
8/8 লাওসেও সৌরপঞ্জিকা অনুযায়ী বৈশাখের প্রথম দিনটি নতুন বছরের সূচনা হিসাবে পালন করা হয়। স্থানীয়ভাবে এর নাম সংক্রান বা পি-মেই। যার অর্থ নতুন সংক্রান্তি বা নতুন বছর। তিন দিন ধরে চলে উৎসব।