টমেটো এমন এক সবজি যা সারা বছরই পাওয়া যায়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। এটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি, কাশি, জ্বর লেগেই রয়েছে প্রত্যেক বাড়িতে। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অবশ্যই দরকার। আপনার রোজকার ডায়েটে শুধুমাত্র একটি টমেটো বাড়িয়ে তুলতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমনটাই বলছেন ডাক্তাররা।
পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হল টমেটো। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলেট এবং পটাসিয়াম। সর্দি কাশি প্রতিরোধে টোমেটো বেশ কার্যকর। এক বা দুটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে অল্প চিনি বা অল্প লবণ দিয়ে পাত্রে গরম করে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এর ফলে সর্দি-কাশিতে খুবই উপকার পাওয়া যায়।
আসুন দেখে নেওয়া যাক টমেটোর ৭টি আশ্চর্যজনক গুণ
ওজন কমানো
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে টমেটো খেলে বাড়তি ওজন কমে। দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে ডায়েটে টমেটোকে রাখতেই হবে। এর মধ্যে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মেদ ঝরাতে সাহায্য করে থাকে।
চোখের জন্য উপকারি
টমেটোতে থাকা ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ায় পাশাপাশি আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেও এটি খুবই উপকারি। এর ফলে সহজে চোখের সমস্যা হয় না।
হজমশক্তি বাড়ায়
আপনার যদি থাকে হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তাহলে রোজকার পাতে টমেটো খেতেই হবে। টমেটোর মধ্যে প্রচুর মাত্রায় থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। খাবারে রোজ টমেটোকে স্যালাড হিসেবে ব্যবহার করুন।
ক্যানসার প্রতিরোধ
টোমেটোতে লাইকোপিন নামে একটি পিগমেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, টমেটোতে পাওয়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক কার্যকর। এটি আপনার ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
হার্টকে সুস্থ রাখে
টমেটোতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে এবং লাইকোপিন-সহ অন্যান্য উপাদানগুলি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না যা হার্টের জন্য ভালো।
টমেটো হাড়ের জন্য উপকারি
টোমেটোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ও ভিটামিনকে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে হাড়কে মজবুত রাখে। তাই নিয়মিত টমেটো খেলে হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শুধু খাবার হিসেবে নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপযোগী। আজ থেকে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় টমেটোকে অবশ্যই রাখুন। স্যালাড, জুস অথবা তরকারি হিসেবে, যেমন করে আপনার মন চায়। তবে যদি আপনার স্বাস্থ্যে কোনও বড় সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।