ইউরিক অ্যাসিড মানেই নিঃশব্দ ঘাতক। প্রায়ই চিকিৎসকরা এমনটা বলে থাকেন। এর পিছনে যুক্তিসঙ্গত কারণও কয়েছে। ইউরিক অ্যাসিড আদতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ। কিন্তু কিডনি ঠিকমতো পরিশ্রুত করতে না পারলে এটি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে জমতে শুরু করে। এখানেই শুরু বিপদের। অধিকাংশ সময়ের অন্য কোনও ব্যথা ভেবে ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষা করান না অনেকে। ফলে সমস্যা বাড়তে থাকে অজান্তেই।
(আরও পড়ুন: বিহারে নয়া আতঙ্ক চিকুনগুনিয়া! পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে WHO-এর বিশেষ দল)
সম্প্রতি এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন ফর্টিস হাসপাতাল ও কিডনি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ আর দত্ত। তাঁর কথায়, ‘ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। আবার একটি সমীক্ষা অনুসারে, দুইরকম রোগই যাদের রয়েছে, তাদের ৩০ শতাংশের হাইপারইউরিসেমিয়া রয়েছে। যার অর্থ শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ থাকলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে কিডনির কোনও সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকলে উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। যা একসময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
(আরও পড়ুন: ডেলিভারি দিতে এসে তরুণীর জুতো চুরি করল ডেলিভারি বয়! অভিযোগ করতে আরও অশালীন আচরণ)
উপসর্গ না থাকায় বেশিরভাগ সময় রোগটি ধরা পড়ে না। চিকিৎসক এ আর দত্ত তাই রোগটি শনাক্ত করতে পরীক্ষানিরীক্ষার উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা করালে ঠিক সময় ধরা পড়ে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। এর পর সেই মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়।’ সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে অল্প ডোজের ওষুধ দিয়ে রোগকে কাবু করা যায়।
উপসর্গ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদে কথা বললেন অ্যাবোটের অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডাইরেক্টর চিকিৎসক কার্তিক পিথাম্বরন। তাঁর কথায়, ‘ শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বড়সড় রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগটি উপসর্গহীন। তাই ঠিক সময় শনাক্ত করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই জন্যই নিয়মিত ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে ঠিক সময় রোগটি ধরা পড়ে।’ রোগ ঠিক সময় ধরা পড়লে চিকিৎসা দ্রুত করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, অন্য রোগের ঝুঁকিও কমানো যায়।