এ কাহিনি যেন হার মানাবে সিনেমার গল্পকেও। জন্ম থেকে হাত নেই তাঁর। তবে হাত ছাড়াই দিব্যি চালাতে পারেন গাড়ি। এবার নিরলস প্রচেষ্টার পর অবশেষে বিনা হাতেই পেয়ে গেলেন ড্রাইভিং লাইসেন্স।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার বাসিন্দা জিলুমল এম থমাসের সঙ্গে। এই ৩২ বছরের যুবতী জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। অবশেষে সেই চেষ্টা সার্থক হল। তাঁর হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরের এই উপাদানে রয়েছে অনন্য গুণাগুণ! হার্টের রোগও নাকি ঠেকিয়ে দিতে পারে এটি
জিলুমলের নিরলস এই প্রচেষ্টা মুগ্ধ করেছে সকলকে। স্বয়ং কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁর হাতে লাইসেন্স তুলে দিয়েছেন।
হাত নেই তাঁর। তবে দু চোখ জুড়ে গাড়ি গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখতো সে। তাই পা দিয়েই গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেন এই সাহসী যুবতী। সকলকে চ্যালেঞ্জ দেখিয়ে দু'পা দিয়েই গাড়ি চালাতে শেখেন জিলুমল।
আরও পড়ুন: ক্লান্তি কিছুতেই কাটছে না? এই ডায়েটেই চনমনে থাকবেন, এনার্জি বাড়বে চার গুণ
এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, 'যাতায়াতে সমস্যা হওয়াই আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল তাই এখন লাইসেন্স পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে পেরেছি।'
তবে জিলুমলের লড়াইটা এতো সহজ ছিল না। কোনও ড্রাইভিং স্কুলই তাঁকে প্রথমে শেখাতে চায়নি। পরে এর্নাকুলাম জেলার ভাদুথালার একটি ড্রাইভিং স্কুল তাঁকে শেখাতে সম্মতি দেয়। জিলুমলের এই সার্থকতায় অত্যন্ত খুশি এই ড্রাইভিং স্কুল।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রক্তাল্পতায় ভুগছেন? চিন্তা নেই! এই ৫ উপাদানে দ্রুত বাড়বে হিমোগ্লোবিন
জিলুমলের এই জয় প্রসঙ্গে ওই ড্রাইভিং স্কুলের মালিক জোপান জানান, ' আমরা খুব বেশি আত্মবিশ্বাসি ছিলেন না। তবে জিলুমল নিজের ধৈর্য, সংকল্প এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদেরকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। পরে আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে তিনি পারবেন'।
তবে জিলুমলের এই সাফল্যে সাহায্য করেছে একটি বিশেষ গাড়ি। কোচির ভি ইনোভেশনস প্রাইভেট লিমিটেড,যা সহায়ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০১৮ সালের মারুতি সেলেরিওতে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক পরিবর্তন আনে। এই গাড়িটিই তাঁর জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিবন্ধিদের কাছে অন্যতম অনুপ্রেরণা জিলুমল। নিজের শারীরির প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন এই কেরালার বাসিন্দা। সব মিলিয়ে জিলুমলের এই সফল্যে খুশি গোটা দেশ।