এখন আর শুধু বয়স্ক নয়, ৩৫-৪৫ বছরের মধ্যেরাও প্রাণ হারাচ্ছেন হৃদ রোগে। ডাক্তারদের মতে এর জন্য বেশিরভাগটাই দায়ি আমাদের জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া! সঙ্গে অনেকেই সময়মতো চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। কাজের চাপ বা ডাক্তার দেখানোয় অনীহাও এর অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বেশিরভাগই দাবি করে থাকেন, নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় বেশি। তবে, হৃদরোগের লক্ষণ আছে কি নেই, তা বেশ কয়েকটি জিনিস খেয়াল করলেই বুঝে নেওয়া সম্ভব।
১. যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি বা যাদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের অন্যদের তুলনায় হৃদরোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।
২. একটু পরিশ্রম করলেই যদি হাঁফ ধরে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। হৃদযন্ত্রে কোনও রকম সমস্যা হলে, ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়।
৩. যাদের খুব বেশি ঘাম হয়, তাঁরাও সাবধান হন। একটুতেই ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ, শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকমতো না হলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভালোভাবে অক্সিজেন পায় না। অনেকে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারেন ঘামে পুরো ভিজে গিয়েছেন। এগুলো সবই হৃদরোগের লক্ষণ।
৪. বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে দ্রুত কোনও কার্ডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। মেয়েদের ক্ষেত্রে বুকের সঙ্গে পেটে ও পিঠে ব্যথার মতো লক্ষণও দেখা যায়।
৩০-র পর বছরে দু'বার রুটিন চেকআপ করান। ব্লাড টেস্টের পাশাপাশি সশরীরে চিকিৎসকের কাছে যান। নারীরা অবশ্যই বছরে একবার গাইনোকলজিস্টের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিন কোনও ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না!