বিনোদনজগত তাঁকে প্রায় ভুলতে বসেছে। যদিও সারা পৃথিবীর কাছে তাঁর অন্য পরিচয়ও আছে। এক সময় অভিনেত্রী হিসাবে দেশের এবং বিদেশের নানা মঞ্চে সম্মানিত হওয়া মধুর জাফরিকে এখন বিশ্ব চেনে রন্ধনশিল্পী হিসাবে। ভারতীয় রান্নাকে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের কাছে। বিশেষ করে পশ্চিমের দুনিয়ায় তাঁর হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বহু ভারতীয় পদ। এহেন মধুর জাফরিকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হল তাঁর সব ধরনের কাজের জন্য। তার পর থেকেই আবার আলোচনায় এই শিল্পী।
আইভরি-মার্চেন্টের ‘শেক্সপিয়ার ওয়ালাহ’ ছবিতে অভিনয় করে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেয়েছিলেন মধুর। এর পরে বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দা, নাটক, রেডিয়োয় নিয়মিত কাজ করতেন তিনি। রেডিয়োয় শ্রুতিনাটকেও তাঁর কাজ খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রাক্তন বর সৈয়দ জাফরির সঙ্গেও বহু ছবি এবং ছোটপর্দার অনুষ্ঠানে কাজ করেন তিনি।
যদিও এর পরে তিনি ভারতে পাকাপাকি বসবাসের সিদ্ধান্তে ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান। Royal Academy of Dramatic Art-এ সঙ্গে যুক্ত হন লন্ডনে। পরে তিনি দীর্ঘ দিন আমেরিকাতেও কাটিয়েছেন। এর পরে রান্না এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডে তাঁকে Commander of the Order of the British Empire-এর সম্মান দেওয়া হয়। ইংল্যান্ড, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতির যোগসূত্র স্থাপনে তাঁর ভূমিকার কারণেই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের সরকারের তরফে।
এর বাইরে মধুর একাধিক বইও লিখেছেন। রান্না এবং সংস্কৃতি নিয়ে যেমন বই রয়েছে, তেমনই ব্রিটিশ শাসনে কাটা তাঁর ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে ‘ক্লাইম্বিং ম্যাংগো ট্রিজ’ নামের আত্মজীবনী প্রকাশ পায় ২০০৬ সালে।