মধ্যপ্রদেশের বাঘ টাউনের কাছে পাওয়া গেল বিশেষ প্রজাতির ডাইনোসরের ডিম। এই ডিম বিবর্তনের ইতিহাসের অনেকটাই বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কেন?
সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকরা মধ্যপ্রদেশ থেকে ডাইনোসরের ১১টি ডিম পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি আবার বেশ অস্বাভাবিক। আর সেটিই বদলে দিতে পারে বিবর্তনের ইতিহাস। এমনই মনে করছেন গবেষকরা।
কী এই অস্বাভাবিক ডিমটি? বিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে বলা হচ্ছে ovum-in-ovo ডিম। বা একটি ডিমের ভিতরে আর একটি ডিম। এমন বিরল ডিম এর আগে ডাইনোসরের পাওয়া যায়নি।
মনে করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের এই এলাকাটি প্রত্নতত্ত্বের গবেষণার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে। কারণ এই এলাকায় প্রাগৈতিহাসিক সময়ে বেশ কিছু প্রজাতির ডাইনোসরের বাস ছিল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই কারণেই এখানে খননকার্য চালানো হয়। তার ফলেই পাওয়া গিয়েছে ডাইনোসরের এই ডিম।
কিন্তু কেন একে বিবর্তনের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে? এর আগে মনে করা হত, ডাইনোসরদের প্রজনন এবং ডিম উৎপাদনের সঙ্গে কুমির বা কচ্ছপের প্রজনন এবং ডিম উৎপাদনের মিল রয়েছে। কিন্তু হালের এই আবিষ্কার সেই ধারণা আমূল বদলে দিল।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য হর্ষ ধীমান জানিয়েছেন, এই আবিষ্কারের ফলে দীর্ঘ দিনের প্রচলিত ধারণা বদলে যেতে পারে। এত দিন ধরে মনে করা হত, কুমির বা কচ্ছপের ডিমের সঙ্গে মিল রয়েছে ডাইনোসরের। কিন্তু ovum-in-ovo ডিম দেখে মনে করা হচ্ছে, ডাইনোসরের সঙ্গে কুমির বা কচ্ছপের চেয়ে বেশি মিল রয়েছে পাখির। বিবতর্নের পথে এভাবেই নিজেকে বদলে নিচ্ছিল ডাইনোসর। সে কথা এই আভিষ্কার না হলে বলা যেত না।