ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে আলাপ হয়েছিল দু’জনের। তার পরে বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই সন্দেহ হতে থাকে স্ত্রীর। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তিনি যেন কেমন একটা! মানে, দু’জনের মধ্যে কোনও স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক নেই। তিনি যেন কেমন একটু দূরে দূরেই থাকতে ভালোবাসেন। জিজ্ঞাসা করলে বলেন, বহু দিন আগে রাশিয়ায় থাকার সময়ে নাকি এক দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, সেই কারণে স্বাভাবিক যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন না। এর পরে মধুচন্দ্রিয়ায় যান দু’জন সেখানেই সন্দেহ আর তীব্র হয় স্ত্রীর। নিশ্চয়ই কোনও গণ্ডগোল আছে স্বামীর। আট বছর পরে জানা গেল সত্যিটা। কী হয়েছে এই মহিলার সঙ্গে?
সম্প্রতি গুজরাটের এক মহিলার জীবনে এমনই ঘটেছে। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর বর্তমান স্বামীর সঙ্গে আলাপ হয়। এর আগে আরও একবার বিয়ে হয়েছিল তাঁর। স্বামী পথ দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন তিনি। পরে ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে এই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেটিও নয় বছর আগের কথা। তার পরে তাঁরা বিয়ে করেন।
বৈবাহিক জীবন মোটেই সুখের ছিল না। প্রথমত নারী-পুরুষের কোনও স্বাভাবিক যৌনসম্পর্ক ছিল না। তার উপর স্বামী তাঁকে অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন। তার সঙ্গে চলল শারীরিক নির্যাতন। জিজ্ঞাসা করলে স্বামী বলতেন, দুর্ঘটনার কারণে যৌনাঙ্গের সমস্যা হয়ে থাকলেও তিনি পরে অস্ত্রোপচার করে এটি ঠিক করে ফেলবেন।
কিন্তু সেই সময় আর আসেনি। পরে একবার মেদ কমানোর অস্ত্রোপচারের নাম করে তিনি অপরাশেনও করান। কিন্তু লাভ হয়নি। তার পরেই জানা যায়, তাঁর স্বামী জন্মসূত্রে একজন মহিলা। পরে অস্ত্রোপচার করে তিনি পুরুষ হন। সেটি বিয়ের আগে প্রকাশ করেননি। এই মহিলাকেও বাধ্য করা হয়, তিনি যেন একথা প্রকাশ না করেন। তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হত বলেও জানা গিয়েছে।
মহিলা তাঁর স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটির জদন্ত করছে।