পৃথিবী দিবস বা বিশ্ব পৃথিবী দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ২২ এপ্রিল। ক্রমেই দিন দিন বেড়ে চলেছে প্লাস্টিকের পরিমাণ। আর সেটিই সংকটে ফেলছে পৃথিবীকে। এই অবস্থায় পৃথিবীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার ডাক দেয় বিশ্ব পৃথিবী দিবস। এই দিন সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন করার দিন। দিন দিন বেড়ে চলা দূষণের ফলে বাড়ছে উষ্ণতা। গাছ কাটা থেকে জলে দূষিত পদার্থ মেশা, বায়ুতে কলকারখানার নির্গত ধোয়া থেকে নানাভাবে মাটির দূষণ, পৃথিবী দিন দিন বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। তাই রাষ্ট্রসংঘের তরফেই শুরু হয় এই বিশেষ দিনটি পালন।
(আরও পড়ুন: এই গরমে সবচেয়ে দরকারি হল নাভির যত্ন নেওয়া! কেন জানেন? কী করবেন সেটিও জেনে নিন)
দিনটির ইতিহাস
বিশ্ব ইতিহাস দিবস পালন শুরু হয় গত শতক থেকেই। পৃথিবীর প্রাকৃতিক উৎস শেষ হয়ে আসছে দিন দিন। এই অবস্থায় পৃথিবীকে বাসযোগ্য গ্রহ হিসেবে টিকিয়ে রাখতেই রাষ্ট্রসংঘ এই বিশেষ দিনটা পালন করা শুরু করে। এর আগেও নানা দেশে দূষণ কমাতে নানাভাবে আন্দোলনের উদ্যোগ হয়েছে। সেই আন্দোলনগুলিকে সংহত করতে রাষ্ট্রসংঘ এমন দিন নির্বাচন করে। দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরেকটি ইতিহাস। ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল ইউসকনসিনের সেনেটর গেলর্ড নেলসন বিশ্ব পৃথিবী দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন।
(আরও পড়ুন: গরমে মেঝেয় শুয়ে পড়ছেন? এর ফলে শরীরে কী হচ্ছে? পরের বার মাটিতে শোওয়ার আগে পড়ে নিন)
তবে অনুষ্ঠানের পিছনে একটি বড় কারণ ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা বারবারাতে তৈল নিষ্কাশনের ফলে প্রবল দূষণের ঘটনা তাঁকে রীতিমতো নাড়া দেয়। গেলর্ড মনে করতেন মানুষের পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া উচিত।
(আরও পড়ুন: সিমকার্ডের একটি কোণ কাটা থাকে কেন? কারণটা জানলে অবাক হবেন)
সেই পরিবেশকে সুরক্ষিত না রাখা গেলে মানুষের ভবিষ্যৎও অসুরক্ষিত। গেলর্ডের সেই অনুষ্ঠানে অভূতপূর্ব সাড়া এসেছিল। ২ কোটি মানুষ সেখানে যোগ দেয়। এরপর থেকে ওই দিনটিই বিশ্ব পৃথিবী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়। এখন সারা বিশ্বের ১৯৩টি দেশ এই বিশেষ দিন পালন করে।