রণবীর ভট্টাচার্য
চিন্তা খুব অদ্ভুত প্রতিক্রিয়াশীল শব্দ। মানুষ চিন্তা করতে পারে, তাই মানুষ বাকি প্রাণীদের থেকে আলাদা। কিন্তু একটি স্তরের বেশি চিন্তা করলে তা শরীরের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। দুশ্চিন্তা অনেকটা সেরকমই - একটি সীমা পার করা যায় ফলে বাড়তে থেকে রক্তচাপ আর টেনশনে সাময়িক ব্যবহারিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এই অতিরিক্ত টেনশন এবং সর্বোপরি মানুষের মধ্যে শারীরিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতার আঙ্গিকে প্রতি বছর ১৭ই মে বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবস পালন করা হয়। ২০০৫ সাল থেকে এই দিন স্বাস্থ্যের আঙ্গিকে উদযাপিত হয়ে আসছে। এই বিশেষ দিনের প্রবক্তা হল বিশ্ব হাইপার টেনশন লীগ, যেই সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছে ৮৫ টি দেশের সদস্যরা।
অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে হাইপার টেনশন বা অতিরিক্ত টেনশন করা কোনও রোগ কিনা। বাস্তবিক, এটিকে কোন রোগ বলা চলে না। তবে অতিরিক্ত টেনশনে মানুষের শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এর মধ্যে হার্টের রোগ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মত দিক রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের সাথে হাইপার টেনশনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। হাইপার টেনশনের উপসর্গ হিসেবে দেখা যায় মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, বমির মত সমস্যা। হাইপার টেনশন বোঝার জন্য রক্তচাপ মেপে নেওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। রক্তচাপ মেপে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু যন্ত্র রয়েছে, যা ডাক্তাররা ছাড়া সাধারণ মানুষও বিশেষ প্রশিক্ষণের সাহায্যে শিখতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে অনেক অত্যাধুনিক ওষুধ রয়েছে এর চিকিৎসায়।
রক্তচাপ কমানোর পৃথিবীতে কঠিনতম কাজ বলে মনে হলেও যোগাসনের মত একাধিক পদ্ধতি মেনে চলা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, তেল ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক ডাক্তার। যারা ওষুধের মধ্যে রয়েছেন ,তাদের নিয়মের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। বর্তমানে দেখা গিয়েছে, বাচ্চা থেকে বুড়ো, স্ট্রেস থেকে ছাড় নিয়ে কারোর। স্ট্রেস মুক্ত থাকা একটি আর্ট হিসেবে দেখা হয় এখনকার দিনে। শুধু তাই নয়, জীবনধারণ নিয়েও যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে এই পরিস্থিতি এড়াবার জন্য। কিন্তু চাইলেই কি টেনশন মুক্ত হওয়া যেতে পারে? প্রশ্ন তোলা থাকল সামনের দিনের জন্য!