অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনের তিনতাড়ি সৈকত। রোজকার মতোই মৎসজীবীরা মাছ ধরতে নেমেছিলেন জলে। কিন্তু এ দিন টের পেলেন বড়সড় কিছু একটা আটকেছে জালে। বড় কোনও মাছই হবে। কিন্তু তা যে এত বড়, সে সম্পর্কে আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেননি তাঁরা। প্রায় ৫০ ফুট লম্বা, ২ টন ওজনের মাছ। তার চেহারা দেখে রীতিমতো অবাক মৎসজীবীরা।
কিন্তু কী করা হবে এত বড় মাছটি নিয়ে? সঙ্গে সঙ্গেই খবর পাঠানো হয় রাজ্য বন দফতরে। অফিসার (District Forest Officer or DFO) অনন্ত শঙ্কর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। তিনিই এসে আবিষ্কার করেন, এটি বিশ্বের বৃহত্তম মাছের প্রজাতির সদস্য। নাম Dotted Whale Shark। এটি বিপন্নপ্রায় একটি প্রাণী।
সঙ্গে সঙ্গেই বন দফতর এবং মৎসজীবীদের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় মাছটিকে আবার গভীর সমুদ্রে ফেরত পাঠানো যায়।
কী এই ডটেড হোয়েল শার্ক? (What is Dotted Whale Shark)
অনন্ত শঙ্কর জানিয়েছেন, এটি অত্যন্ত বিরল এবং বিপন্নপ্রায় একটি প্রাণী। এর প্রচলিত নাম Gentle Giant। এমন নামকরণের কারণ, অন্য শার্কের মতো এটি শিকার করে না। এত বড় চেহারা হলেও এরা মোটেই মাংসাশী নয়। বরং এরা নানা ধরনের সামুদ্রিক গাছ খেয়েই বাঁচে। ১৯৭২ সালে এই প্রাণীটি সংরক্ষণের জন্য আইন আনা হয়েছে।
সংরক্ষণের রাস্তা (How to preserve):
অন্তত শঙ্কর জানান, এই হোয়েল শার্কের ছবিটি মালদ্বীপে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই শার্কের সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর আগেও ওড়িশার উপকূলে দু’বার এই শার্ক ধরা পড়ে। কীভাবে এদের বাঁচিয়ে রাখা যায়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, মাছটি আটকে পড়ায় যে যে মৎসজীবীর জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।