আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সোমবার ভারতের বাজারেও সোনা ও রুপোর দাম বৃদ্ধি পেল। এমসিএক্স সূচকে ৬০০ টাকা বেড়ে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,৮২৬ টাকা। সূচকে ১,৭০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৯,৮০০ টাকা।
গত দুই সপ্তাহ ধরে সোনার দামে ওঠাপড়া হয়েছে তুলনামূলক কম অনুপাতে। বিশ্বের কিছু অংশেকোভিড সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ার পাশাপাশি প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন বাজারে আসার সম্ভাবনা উদ্বেগের পারদ নিয়ন্ত্রণ করেছে।
গত শুক্রবার দিনের শেষে সূচকে সোনার দাম বেড়েছিল ০.১৭% এবং রুপোর দামে উত্থান বা পতন ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন গত দুই মাসের হিসেবে সর্বোচ্চ উঠেছে সোনার দর। এর পিছনে রয়েছে ডলারের দাম দুর্বল থাকা এবং বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণের হার বৃদ্ধি।
স্পট গোল্ড সূচকে এ দিন ১% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৯১৭.৭৬ ডলার। পাশাপাশি, সূচকে ২.৪% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৬.৯৮ ডলার।
জিওজিৎ ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস-এর পণ্য বিভাগের প্রধান গবেষক হরিশ ভি জানিয়েছেন, ‘আমেরিকায় আরও উদার অর্থনৈতিক সংস্কারের আশা, মার্কিন ডলারের দামে লাগাতার পতন এবং বেশ কিছু পাশ্চাত্য রাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধির ফলে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা এবং কোভিড ভ্যাক্সিন আত্মপ্রকাশের আশায় বাজারে বড় লাভের আশা কমেছে।’
তাঁর মতে, যত ক্ষণ পর্যন্ত সোনার দাম প্রতি আউন্স ১,৮৯০ ডলারের সীমার উপরে থাকে, তত ক্ষণ দর বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে এর পরে দর নামলেও তা আউন্সপ্রতি ১,৮৩০ ডলারের কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্য দিকে, ইটিএফ বিনিয়োগের হারও সোনা কেনার প্রবণতা বৃদ্ধির আভাস দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড-ব্যাকড ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট-এ মজুত সোনার পরিমাণ ০.০৮% বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১,১৭০.৭৪ টন।
গত বছর সোনার দামে বৃদ্ধি হয়েছে ২৫% এবং রুপোর দাম বেড়েছে প্রায় ৫০%।