গালওয়ান সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন চিনা ফৌজির হতাহতের খবর ‘নিশ্চিতভাবে ভুয়ো’। এমনটাই দাবি করলেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। তবে আসল সংখ্যাটা প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমের খবর 'ভুয়ো' প্রমাণ করার পথে হাঁটলেন না তিনি।
গত ১৫ জুন গালওয়ানে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) হতাহতের সংখ্যা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে চিনের প্রতিনিধি বলেন, ‘আপনারা যা সংবাদমাধ্যমে দেখছেন, যেমন অনেকে দাবি করছেন চিনের তরফে হতাহতের সংখ্য্যা ৪০, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এটা ভুয়ো খবর।’ যদিও চিরাচরিত চিনা কায়দায় আসল সংখ্যাটা প্রকাশ করেননি।
দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য মলডোর ম্য়ারাথন বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেন ঝাও। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনা চালাচ্ছে চিন এবং ভারত। এই বৈঠক থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আশাবাদী দু'পক্ষই।’
বৈঠকে গভীরভাবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, 'প্রথম সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের (গত ৬ জুন হয়েছিল) ঐক্যমতের ভিত্তিতে বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দু'পক্ষ খোলামেলা এবং গভীরভাবে মতামত আদানপ্রদান করেছে এবং পরিস্থিতি (পড়ুন উত্তেজনা) কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।' যদিও গত ৬ জুনের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করেছিল চিনা সেনা। তা থেকেই গালওয়ানে সংঘর্ষের সূত্রপাত। যে সংঘর্ষ চিনের পূর্ব পরিকল্পিত বলে আগেই জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাতে সিলমোহর দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারাও।
তবে সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি ঝাও। বেজিংয়ের প্রতিনিধি বলেন, ‘দু'পক্ষের সীমান্ত বাহিনীর আলোচনার স্তরে রয়েছে ওই নির্দিষ্ট বিষয়টি। এ বিষয়ে আমার কাছে আর কোনও তথ্য নেই।’