তাঁর বিবৃতির দিকেই যাবতীয় নজর ছিল। কিন্তু নতুন কিছু বললেন না। বরং এতদিনের ইতিবৃত্ত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রকের অবস্থান পড়ে শোনালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। একইঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভারত। কিন্তু দেশের স্বার্থে যত বড় বা যত কড়া পদক্ষেপ নিতে হোক না, তা নিতে পিছপা হবে না নয়াদিল্লি।
‘লাদাখে আমাদের সীমান্তে পরিস্থিতি’ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিবৃতি দেন রাজনাথ। তাতে তিনি আবারও স্পষ্ট দেন, যাবতীয় চুক্তি ও সমঝোতা উপেক্ষা করেই সীমান্তে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে চিন।
গালওয়ান সংঘর্ষ হোক বা গত ২৯-৩০ অগস্টের মধ্যবর্তী প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে চিনা সেনার আগ্রাসন, ভারত কোনও প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ করেনি বলে আগেই জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সেই বিষয়টির আবারও জোর দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে, সেগুলি যে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, তা চিনের পদক্ষেপে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চিন সীমান্তে যে সৈন্য সমাবেশ করেছে, তা ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তির বিরোধী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার শ্রদ্ধা করা এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলা হল সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার মূল ভিত্তি।’
একইসঙ্গে চিনের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাজনাথ জানান, বিশ্বের কোনও দেশ ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবে না। যে এলাকাগুলিতে ঐতিহ্যগত ভারতের টহলদারির অধিকার আছে। তিনি বলেন, ‘টহলদারির ধরন আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে কেন সংঘাত হয়েছিল। টহলদারির ধরনে ঐতিহ্যগত এবং স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা আছে। বিশ্বের কোনও শক্তি আমাদের জওয়ানদের টহলদারি আটকাতে পারবে না। আমাদের জওয়ানরা যদি জীবন উৎসর্গ করেন, তাহলে এটাই হল সেই জীবন উৎসর্গের কারণ। টহলদারির ধরণে কোনও পরিবর্তন হবে না।’