সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাত ঘণ্টা। তার মধ্যেই অন্তত ১০১ জন মহিলার বন্ধ্যাকরণের অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে ছত্তিশগড়ের একজন শল্য চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। কার্যত সাত ঘণ্টায় সেঞ্চুরি পার করে দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে এনিয়ে শোরগোল পড়তেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ছত্তিশগড় সরকার। এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, একদিনে ৩০টির বেশি অপারেশন করা নিয়মবিরুদ্ধ। সেক্ষেত্রে এত বেশি সংখ্যক অপারেশন কেন করা হয়েছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এর জেরে তিনি শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন। এদিকে সূত্রের খবর এনিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে জবাব চেয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁর কাছে নোটিশও পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে এই ছত্তিশগড়েই বন্ধ্যাকরণের অপারেশন করাতে গিয়ে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছিল। এনিয়ে প্রবল বিতর্ক ছড়ায়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৭শে অগস্ট ছত্তিশগড়ের নর্মদাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বন্ধ্যাত্বকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই ১০১টি অপারেশন করেছেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু কেন তিনি গাইডলাইন ভেঙেছেন সেটা খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে ওই চিকিৎসকের দাবি সকলেই বলছিলেন তাঁদের অপারেশন দ্রুত করার জন্য। অনেকেই গ্রাম থেকে এসেছিলেন। দ্রুত অপারেশন না হলে তাঁরা সমস্যা পড়ে যাবেন বলে তাঁরা জানিয়েছিলেন। এরপরই তিনি ওই অপারেশন করেন। তবে সকলেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।