বিজেপির ১২টি রাজ্যের ইউনিটের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার অসমে মিটিংয়ে বসেছিলেন। মূলত আগামী যে ভোটগুলো আসছে সেগুলি কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে মূলত বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় ওড়িশা, উত্তরবঙ্গের একাধিক রাজ্যের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ইউনিট প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারিরা উপস্থিত ছিলেন মিটিংয়ে।
এক নেতার কথায়, কর্মীদের প্রশিক্ষণ কতটা হয়েছে, সচেতনতা মূলক কর্মসূচি, মোদী সরকারের ৯ বছরের নানা সাফল্যকে তুলে ধরা, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অপর এক নেতার কথায় কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড দেখেছে একাধিক জায়গায় আরও জোর লাগিয়ে খাটতে হবে। কিছু দুর্বলতা রয়েছে। শক্তিকে প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। আগামী ভোটের দিকে তাকিয়ে এই কাজ করতে হবে। কিছু রাজ্যে সামাজিক স্কিম নিয়ে ত্রুটি রয়েছে। সেটা উপভোক্তাদের কাছে সঠিকভাবে যায়নি। সেই সব দিকগুলো খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। এনিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দিল্লিতে ও শনিবার হায়দরাবাদেও মিটিং হবে এই ধরণের।
এদিকে সূত্রের খবর সম্প্রতি চার রাজ্যে সভাপতি বদল হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও কিছু বদল হতে পারে। মূলত কিছু রাজ্যের প্রতিনিধিকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একাধিক নতুন মুখ আসতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
সামনে একাধিক রাজ্য়ের ভোট। এরপর লোকসভা ভোট রয়েছে। সবক্ষেত্রে বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষা। কর্ণাটক থেকে বড় শিক্ষা পেয়েছে বিজেপি। সেকারণে এবার আর কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। সব দিক হিসেব করা হচ্ছে।
এদিনের মিটিংয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।