ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতারা ধর্মীয় মেরুকরণের রাস্তায় নেমেছেন বলে অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিকে তোয়াক্কা না করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা মেরুকরণের পথে হাঁটছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন সেরকমভাবে পদক্ষেপ করছে না। সেই অভিযোগের মধ্যেই এবার ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে সংখ্যালঘুদের হাতিয়ার করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: অযোধ্য়া-কাশীর পরে এবার নজরে মথুরা-বৃন্দাবন, রোডম্য়াপ ঠিক করলেন যোগী
তিনি গোহত্যা ইস্যু তুলে শুক্রবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, গরুকে মায়ের আসনে বসানো হয়, অথচ কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে হল সেই গরুকে কসাইদের হাতে তুলে দেওয়া। যদিও তিনি এক্ষেত্রে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর মতো ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার করেননি। তিনি সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, গরু হত্যা করে সংখ্যালঘুদের মাংস খাওয়ার অধিকার দিতে চাই কংগ্রেস। তাঁর দাবি, ভারত এটা মেনে নেবে না। সম্ভলের বিজেপি প্রার্থী পরমেশ্বর লাল সাইনির হয়ে শুক্রবার মোরাদাবাদের বিলারিতে ভোট প্রচারে যান যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি এভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।
অন্যদিকে, এখানেই থেমে না থেকে প্রধানমন্ত্রীর মতোই সুর মিলিয়ে যোগী বলেন, মহিলাদের সম্পত্তি কেরে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিলিয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস। যদিও এক্ষেত্রেও তিনি ‘হিন্দু মহিলা’ অথবা ‘মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করেননি।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসকে বেলাগাম আক্রমণ করে করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস দেশের সম্পদে সবার আগে মুসলিমদের অধিকার দিতে চায়। হিন্দু মহিলাদের মঙ্গলসূত্র এবং তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ মুসলমান এবং অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিতে চায়।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড়েও প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, আপনাদের সম্পত্তির ওপর কংগ্রেসের নজর রয়েছে। কাদের হাতে কংগ্রেস তা তুলে দিতে চাইছে তা আপনারা জানেন। প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্যের পরেই রীতিমতো অবাক হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন ওঠে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। যদিও প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কোনও নোটিশ পাঠানোয় প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী বারবার মেরুকরণের পথে হাঁটছেন। অথচ গত ১০ বছরে কী করেছেন বা কী করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন না প্রধানমন্ত্রী।