সীমান্তের গ্রামে এক নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ১৫ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করেছে বিএসএফর অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট। অসমের করিমগঞ্জ জেলা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ১৪ই জুলাই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের নীলমবাজার এলাকায় বিএসএফের অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট সীমান্ত সংলগ্ন একটি গ্রামে যায়। এরপর ছেলে ও মেয়ের বাবা মাকে পাকড়াও করে। করিমগঞ্জের একটি হোমে মেয়েটিকে পাঠানো হয়। এদিকে বিএসএফের তরফে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশকে একটু পরে আসার ব্যাপারে তারা অনুরোধ করেন। এরপর হাতেনাতে তাদের পাকড়াও করে।
বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খবর পাওয়া গিয়েছিল যে ১৫ বছরের একজন নাবালিকার সঙ্গে ২০ বছরের এক যুবকের জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে হাতেনাতে পাকড়াও করতে না পারলে কিশোরীকে রক্ষা করা যায় না। বিকাল ৪টে নাগাদ গোপনে গ্রামে ঢোকে বিএসএফ। তখন বিয়ের তোড়জোড় চলছে। এরপরই তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে দুজনেরই বিয়ের বয়স হয়নি। তবে তাদের অভিভাবক ও বিয়ের সঙ্গে যুক্ত এক ধর্মীয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে প্রহিবিশন অফ চাইন্ড ম্যারেজ অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে।