সংকট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ভারতীয় বেসামরিক বিমন সংস্থা গো ফার্স্টের। সমস্ত বাধা কাটিয়ে যখন আবার উড়ানের পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি, ঠিক তখনই আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিমান সংস্থাটি। কর্মীদের তিন মাস ধরে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক কর্মী বেতন না পেয়ে বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করার পরিকল্পনাও করছেন।
গত মে, জুন, জুলাই তিন মাসের বেতন পাননি কর্মচারীরা। কর্মীদের অনেকেই অন্যত্র চাকরি খুঁজতে শুরু করেছেন। গো ফার্স্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভের মতে, এই তালিকায় ৩০ জন পাইলট, ৫০ জন কেবিন ক্রু এবং ৫০ জন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ জন কর্মচারী রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সহ বেশিরভাগ কর্মচারী এয়ারলাইনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে ক্রমশ অসন্তোষ বেড়েছে কর্মচারীদের মধ্যে এবং পদত্যাগের হারও বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন।
(আরও পড়ুন: Visva Bharati: 'স্যার যৌন হেনস্থা করতেন,' বিশ্বভারতীর প্রফেসরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবাদে অনশন)
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে যাবতীয় উড়ান বাতিল করেছিল গো ফার্স্ট। আর্থিক সংকটের কথাও জানিয়েছিল তারা। এরপরেই সংস্থাটি বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিলো জল্পনা। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের (National Company Law Tribunal) কাছে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল তারা। ১০ মে এনসিএলটি, গো ফার্স্টের স্বেচ্ছায় দেউলিয়াত্ব সমাধানের আবেদন মঞ্জুর করে। ২২ মে এনসিএলটি দেউলিয়া অবস্থা সমাধানের জন্য গো ফাস্টের বোর্ডকে স্থগিত করাতে আইআরপি নিয়োগ করেছিল। এছাড়াও বিমান ইজারা দেওয়া বিভিন্ন সংস্থা গো ফাস্টের থেকে বিমান ফেরত নিতে এবং রেজিষ্টেশন বাতিলের জন্যে আবেদন জানিয়েছিল।
একদিকে মোটা ঋণের বোঝা, আর্থিক সংকট, স্বেচ্ছায় দেউলিয়া ঘোষনা, ইজারাদারদের বিমান ফেরত এবং উড়ানে স্থগিতাদেশের মত ঘটনায় সব মিলিয়ে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না বেসামরিক বিমান সংস্থাটির। এই অবস্থায় এই বিপুল সংখ্যক কর্মী বাহিনীর কাজ ছাড়ার ঘটনায় সংকট বাড়ছে গো ফাস্ট বিমান সংস্থাটির।