ফারুকাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোট প্রচারে সমাজবাদী পার্টির নেতা মারিয়া আলম এবার ভোট জেহাদের জন্য় আবেদন করলেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে মূলত তিনি এই আবেদন করেন। তাঁর মতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি সরকারকে সরানোর জন্য় এই ভোট জেহাদ দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। খবর পিটিআই সূত্রে।
মারিয়া হলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের ভাইঝি। সলমন খুরশিদ নিজেও এদিন ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই মারিয়া আবেদন করেন যে,' ভোট জেহাদ করতে হবে এবার। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ভোট জেহাদ অত্যন্ত প্রয়োজন।’ ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী নবল কিশোর শাক্যের সমর্থনে আয়োজিত সভায় তিনি বলেন, ‘সংগঠিতভাবে ভোট জেহাদ করুন এবার। বুদ্ধি করে এটা করুন। কোনও আবেগে না ভেসে এটা করুন। নীরবভাবে এটা করে য়ান। এই সঙ্ঘী সরকারকে সরকারকে সরাতে আমরা যেটা করতে পারি সেটা হল ভোট জেহাদের ডাক দেওয়া। এখন মূল কাজটা হল হাতে হাত ধরে কাজ করে যাওয়া। এই সঙ্ঘী সরকার আমাদের অস্তিত্বটাই সংকটের মধ্য়ে ফেলে দেবে। ’
তিনি বলেন, ‘মানুষ বলছে সংবিধান আর গণতন্ত্র এখন সংকটের মধ্য়ে পড়েছে। তবে এখন ইনসানিয়াতের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। যদি আপনি এই দেশকে বাঁচাতে চান, এর সৌন্দর্যকে রক্ষা করতে চান, গঙ্গা যমুনিকে রক্ষা করতে চান সেক্ষেত্রে কারোর দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভোট দিন।’
এদিকে মারিয়ার বক্তব্য ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে সোস্য়াল মিডিয়ায়।
তবে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে খুরশিদ বলেন, ‘আমি এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করি না। কারণ এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে তা অন্য়ভাবে ব্যাখা করা হয়। ’
তিনি বলেন, জেহাদ মানে হল একটি পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। তাঁর মন্তব্যের আসল লক্ষ্য় ছিল যে ভারতের সংবিধানকে রক্ষা করা।
এদিকে ফারুকাবাদে এটাই ছিল প্রথম পাবলিক মিটিং। কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন মিটিংয়ে।
সেখানে মারিয়া আলম বলেন, সংগঠিতভাবে ভোট জেহাদ করুন এবার। বুদ্ধি করে এটা করুন। কোনও আবেগে না ভেসে এটা করুন। নীরবভাবে এটা করে য়ান। এই সঙ্ঘী সরকারকে সরকারকে সরাতে আমরা যেটা করতে পারি সেটা হল ভোট জেহাদের ডাক দেওয়া। এখন মূল কাজটা হল হাতে হাত ধরে কাজ করে যাওয়া। এই সঙ্ঘী সরকার আমাদের অস্তিত্বটাই সংকটের মধ্য়ে ফেলে দেবে।