আইআইটি বোম্বে। এবার তাদের ছিল সিলভার জুবিলি পুনর্মিলন। ১৯৯৮ সালে ব্যাচ তারা। এবার তাঁদের সেই ফেলে আসা ইনস্টিটিউটের হাতে তাঁরা তুলে দিলেন ৫৭ কোটি টাকা। কোনও একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের তরফ থেকে এত টাকা আগে কোনও দিন অনুদান হিসাবে আসেনি। এর আগে ১৯৭১ সালের যে ব্যাচ ছিল তারা সুবর্ণজয়ন্তী বছরে ৪১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
আর এবার এল ৫৭ কোটি টাকা। এই ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা আজ উচ্চ প্রতিষ্ঠিত। দেশে বিদেশে তাঁরা উচ্চ স্থানে রয়েছেন। তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম সিলভার লেকের এমডি অপূর্ব সাক্সেনা, শৈলেন্দ্র সিং, এমডি পিক এক্সভি, অনুপম ব্যানার্জি, এমডি ভেক্টর ক্যাপিটাল, দিলীপ জর্জ-এআই রিসার্চ, মনু ভার্মা, সুন্দর আয়ার, সন্দীপ যোশী, শ্রীকান্ত শেঠী প্রমুখ।
এবার ছিল ১৯৯৮ ব্য়াচের পুনর্মিলন। এবার তাদের এই অনুদান দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকে। সব মিলিয়ে মোটামুটি ২০০জন ছিলেন। তাঁরাই এই বিপুল অর্থ তুলে দেন। এই বিশাল ফান্ড দিয়ে মূলত আইআইটি বোম্বের সার্বিক কল্যাণের কাজে লাগবে। এর মধ্য়ে প্রজেক্ট এভারগ্রীন, ইকো ফ্রেন্ডলি হস্টেল, ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে নানা প্রকল্প, তার মধ্য়ে স্কলারশিপও রয়েছে।
এদিকে আইআইটি বোম্বে চাইছে ২০৩০ সালের মধ্য়ে বিশ্বের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে Rank করতে। এবার সেই বোম্বে আইআইটির পড়ুয়ারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দিলেন তাঁরা। কার্যত এই আইআইটি বোম্বে তাঁদের জীবনের মোড়কে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তাঁরা আজ জীবনের যে জায়গায় রয়েছেন তার পেছনে আইআইটি বোম্বের অবদান কম কিছু নয়। কিন্তু ফেলে আসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তাঁরা ভোলেননি। সেই প্রতিষ্ঠানের হাতে তাঁরা তুলে দিলেন বিরাট অঙ্কের টাকা। এই টাকায় ওই ইনস্টিটিউটের সার্বিক উন্নতি হবে। এর আগে ১৯৭১ সালের যে ব্যাচ ছিল তারা সুবর্ণজয়ন্তী বছরে ৪১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তবে এবার তার থেকে অনেকটাই বেশি দিল ৯৮ সালের ব্যাচ। কার্যত নজির তৈরি করলেন তাঁরা।