বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের কলকাতা শাখায় বড়সড় রদবদল করা হল। নজিরবিহীনভাবে শীর্ষ পদে আনা হল দুই মহিলা নেত্রীকে। এরমধ্যে একজনকে কলকাতা জেলার এসএফআইয়ের সভাপতি করা হয়েছে এবং অন্যজনকে সম্পাদক করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধু কলকাতাতেই নয় গোটা দেশে বিরলতম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকের মতে, এই রদবদল ঐতিহাসিক। কলকাতা জেলার এসএফআইয়ের সভাপতি হয়েছেন বর্ণনা মুখোপাধ্যায় এবং সম্পাদক হয়েছেন দীধিতি রায়। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দলে অক্সিজেন দিতে পারে SFI, ছাত্র সংগঠনের সম্মেলনে মুখ বদল ভাবনা সিপিএমে
এই দুজনেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। দুজনেই জেলার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও কলকাতার দায়িত্ব তাদের কাঁধে তুলে দেওয়ায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। জানা গিয়েছে, দীধিতি রাজাহাটের বাসিন্দা এবং বর্ণনা হলেন সোদপুরের বাসিন্দা। তবে তাঁরা জেলার বাসিন্দা হলেও কলকাতাতে তাঁদের পড়াশোনা। দুজনেই কলকাতা এসএফআইয়ের সদস্য। সেক্ষেত্রে বর্ণনা বঙ্গবাসী কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনার সূত্রে কলকাতায় থেকেছেন এবং কলকাতা এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনেই কঠোর পরিশ্রমী। সেই কারণে তাঁদের কাঁধে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে এসএফআইয়ের শীর্ষ পদে মহিলা নেত্রী থেকেছেন। যেমন এর আগে কণীনিকা ঘোষ বোস ও মধুজা সেনরায় এসএফআই কলকাতা শাখার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে আলাদা আলাদা সময়ে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে শীর্ষ পদে দুজন মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
অন্যদিকে, এসএফআইয়ের কলকাতা জেলার সভাপতি ছিলেন দেবাঞ্জন দে। তাকে রাজ্য কমিটিতে পাঠানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে বর্ণনাকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেড সমাবেশে বেশ ভালো ভিড় হয়েছিল। তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যুব সংগঠনের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছে আলিমুদ্দিন। এছাড়াও তরুণীদের আরও বেশি করে উৎসাহিত করতে চাইছে বামেরা।