চলতি বছরে চারধাম যাত্রা এখনও চলছে। আর সেই চারধাম যাত্রায় অন্তত এখনও পর্যন্ত ২০০জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। উত্তরাখণ্ডের স্টেট এমার্জেন্সি কন্ট্রোল সেন্টার সূত্রে খবর।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মূলত স্বাস্থ্যজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাদের। তবে কিছু ক্ষেত্রে শরীরের উপর বোল্ডার পড়ে যাওয়ার কারণেও মৃত্যু হয় বলে খবর। কেদারনাথ ধামে সবথেকে বেশি ৯৬জনের মৃত্যু হয়। যমুনোত্রী ধামে মৃত্যু হয়েছে ৩৪জনের। বদ্রীনাথ ধামে ৩৩জনের, গঙ্গোত্রী ধামে ২৯জন, হেমকুণ্ড সাহিবে ৭জনের, গোমুখ তীর্থযাত্রার পথে মৃত্যু হয় ১ জনের। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের।
এবার তীর্থযাত্রায় কতজন অংশ নিয়েছিলেন সেটা একবার দেখে নেওয়া যাক। চারধাম তীর্থযাত্রা এবার ৪.১৯ মিলিয়ন পেরিয়ে গিয়েছে। তার মধ্য়ে কেদারনাথ ধামেই গিয়েছেন ১.৩৪ মিলিয়ন তীর্থযাত্রী। গত ২২ এপ্রিল এবার চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছিল। গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে কেদারনাথে ২৫ এপ্রিল ও বদ্রীনাথ ধামে ২৭ এপ্রিল এই যাত্রা শুরু হয়।
তবে এবার গত বারের তুলনায় এবার স্বাস্থ্য জনিত কারণে ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্য়া অনেকটাই কমে যায়। গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৩২জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার মধ্য়ে ১১১জন মারা গিয়েছিলেন কেদারনাথ ধামে, ৫৮জন বদ্রীনাথে ধামে, ৪জন হেমকুণ্ড সাহিবে, ১৫জন গঙ্গোত্রীতে, ৪৪জন যমুনোত্রী ধামে। আর গোটা যাত্রার সময়কালে সব মিলিয়ে ৩০০জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বদ্রীনাথের চামোলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রাজীব শর্মা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য জনিত কারণে মৃত্যু এড়াতে এবার নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর জেরে গতবারের তুলনায় মৃত্যু অনেকটাই কমেছে।
তিনি জানিয়েছেন, দশটি হেল্থ এটিএম বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড যাওয়ার পথে স্থাপন করা হয়েছিল। বিশেষত বয়স্ক তীর্থযাত্রীদের শরীরের পরিস্থিতি বার বার পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের ইসিজি, ব্লাড সুগার, ইউরিক অ্য়াসিড পরীক্ষা করা হয়েছে। মূলত ৫৫ বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের জন্য এই পরীক্ষা করা হয়েছে।