বাজি পুড়িয়ে বা আতসবাজি করে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পরিবর্তে গুলি চালিয়ে করা হল বর্ষবরণ। এর ফলে কমপক্ষে ২২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বে কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলা ও কয়েকজন শিশু। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
শনিবার রাত ১২ টার সময় নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য বিশ্বের অন্যান্য জায়গার মতো আনন্দে মেতে উঠেছিলেন করাচিবাসী। সেই সময় করাচির বিভিন্ন জায়গায় চলছিল সেলিব্রেশন। কয়েকজন যুবক গুলি চালিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। তখনই তাদের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হন ২২ জন। জানা গিয়েছে, আহতরা ওসমানাবাদ পাঞ্জওয়ানি প্লাজা, বাতিঘর, রাজা ম্যানশন, হুসেনাবাদ, নাজাইমাবাদের বোর্ড অফিস, নাজিমাবাদ ব্রিজ, লিয়াকতাবাদ, ফাইভ স্টার চৌরঙ্গী প্রভৃতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন করাচির উত্তর নাজিমাবাদের কেডিএ চৌরঙ্গীর বাসিন্দা শাহমির (২০), হুসেনাবাদের বাসিন্দা নাভিদ (২০), নাজিমাবাদের নয়া গলিমার এলাকার বেদাল (৩৬), আদিল (৩৫) প্রমুখ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিল হাসপাতাল আটজন আহতকে ভর্তি করা হয়েছে। ৪ জন ভর্তি রয়েছে জিন্নাহ হাসপাতালে, ১০ জন আব্বাসি শহিদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে, গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ মোট ১০ জনকে আটক করেছে। যার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলার রুজু করেছে করাচির পুলিশ।