মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দরের ৪জন কর্মী এবং একজন যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিআইএসএফ। এই ঘটনার পরেই ওই কর্মীদের বরখাস্ত করেছে বিমান সংস্থা। বুধবার বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়ানে বার্মিংহামগামী এক যাত্রীর কার্যকলাপ দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তারপরে বিষয়টি প্রকাশ্যে হয়ে আসে।
আরও পড়ুন: কাজের টোপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এনে নামানো হত দেহ ব্যবসায়, উদ্ধার ৭, ধৃত ৬
সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তাকর্মীরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান যে অভিবাসন কর্মকর্তারা প্রথমে ওই যাত্রীকে প্রবেশ করতে দেয়নি। কারণ ওই নথিগুলি দেখে তাদের সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, এই যাত্রীকে পরে এআইএসএটিএস কর্মীরা অবৈধভাবে প্লেনে ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। উল্লেখ্য, এআইএসএটিএস হল এয়ার ইন্ডিয়া লিমিটেড (টাটা গ্রুপের অংশ) এবং এসএটিএস লিমিটেডের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। এর কর্মীরা র্যাম্প অপারেশন, ভার নিয়ন্ত্রণ, ফ্লাইট হ্যান্ডলিং, ব্যাগ হ্যান্ডলিং এবং অন্যান্য বিমান পরিষেবা প্রদান করে। সেখানেই কর্মরত ছিল ওই চারজন। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যাত্রীর নাম হল দিলজোত সিং। এছাড়া, এআইএসএটিএসের ৪ কর্মী রোহন ভার্মা, মহম্মদ জাহাঙ্গীর, যশ এবং অক্ষয় নারাংকে দিল্লি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ পরে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এআইএসএটিএস-এর প্রধান নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় গুপ্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত বুধবার মানব পাচার বিরোধী অভিযান চালায় সিআইএসএফ। তাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।তিনি বলেছেন, যে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের দিল্লি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুখপাত্র বলেছেন, যে এটি মানব পাচারের একটি সন্দেহভাজন মামলা বলে মনে হচ্ছে। কারণ এআইএসএটিএস কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, উড়ানে অবৈধভাবে যাতায়াতের জন্য যাত্রী প্রতি ৪০,০০০ টাকা করে নিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।