মোদী সরকার ৭ বছরের শাসনকালে ৭টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। এমনইভাবে পয়েন্ট ধরে ধরে মোদী সরকারকে বিঁধল কংগ্রেস। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর দেখতে দেখতে সাত বছর কেটে গিয়েছে। এই নোট বাতিল থেকে শুরু করে করোনা মোকাবিলার মতো এমন অনেক ঘটনাই ঘটেছে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ফলে দেশে বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতি দুই বেড়েছে। এই সব বিষয়কে সামনেই এবার মোদী সরকারকে বিঁধল কংগ্রেস।
রবিবার কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ‘গত ৭ বছরে মোদী সরকার দেশের মানুষকে যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছু দেয়নি। গত ৭ বছরে সব কিছুতে শুধু ব্যর্থই হয়েছে সরকার।দেশের মানুষের কোনও কাজে আসেনি। গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্ব ১১.৩ শতাংশ বেড়েছে। পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ১০০ টাকা ছড়িয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে সরষের তেলের দাম ২০০টাকা ছড়িয়ে গিয়েছে। গত ৭৩ বছরে দেশের সবচেয়ে দুর্বল সরকার নিজেদের তুলে ধরেছে মোদী সরকার।’
এদিন সকালে মন কী বাতের অনুষ্ঠান করেন প্রধানমন্ত্রী।সেই অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা, দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা সমাধান ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিকের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।গত ৭ বছরে মোদী সরকার কী কী গঠনমূলক কাজ করতে পেরেছে, মূলত সেই বিষয় নিয়েই ছিল ওই মন কী বাতের অনুষ্ঠান।মোদীর এই বক্তব্যের পাল্টা ৪ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস, যেখানে দেখানো হয়েছে, গত ৭৩ বছরের ইতিহাসে মোদী সরকারের মতো দুর্বল সরকার আর আসেনি।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র মোদী সরকারের ব্যর্থতার এক–একটা দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, মোদী সরকারের আমলেই প্রবল অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। বেকারত্ব ও মূদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। কৃষকদের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে। গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এদিন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। জন প্রতি আয়ের পরিমাণ ৫.৪ শতাংশে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।এই কঠিন পরিস্থিতি অনেকেরই জীবনদায়ী ওষুধ না পাওয়ার কারণে মৃত্যু হচ্ছে। দেশে অক্সিজেন সরবরাহ ও হাসপাতালে বেডের সংখ্যাও অপ্রতুল।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র লাদাখ সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার দিকটিও তুলে ধরেন।তাঁর মতে, চিনের আগ্রাসী নীতির যোগ্য জবাব দিতে পারেনি ভারত। চিন লাদাখ সীমান্তে যে সব জমি জোর করে দখল করে রেখেছে, সেখান থেকে চিনা সেনাদের সরাতে ভারত ব্যর্থ হয়েছে। ভারতের সার্বভৌমত্য বিঘ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার আসলে পুঁজিবাদীদের সরকার।এই সরকার আসলে কৃষকদের কথা চিন্তাই করে না।