মুম্বইয়ের ৭০ বছর বয়সী সেলিনা ডিকস্টার দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ির বাথরুম থেকে। দেখা গিয়েছে, সেলিনা ডিকস্টার মুখ বাথরুমের একটি জলভর্তি বলতিতে চুবিয়ে রাখা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মনে করে মালাড পুলিশ। তবে ধীরে ধীরে রহস্যের জটাজাল বেরিয়ে আসে।
সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়া পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল এই মৃত্যুর ঘটনা দুর্ঘটনা। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেলিনা ডিকস্টার বাড়িতে ঘটনার দিন এক মাস্ক পরা ব্যক্তি প্রবেশ করে। সেলিনার পরিবার লক্ষ্য করেছে, তাঁদের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি দামী জিনিস চুরি গিয়েছে। তারপরই শনিবার খুন, ডাকাতির অভিযোগে মুম্বইয়ের মালাড পুলিশ স্টেশনে সেলিনার পরিবার এফআইআর দায়ের করে। ঘটনার জেরে নানান অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার হয়েছে, বাড়ির পরিচারিকা, তার ছেলে ও পরিচারিকার প্রেমিক। উল্লেখ্য, গত ২ দশক ধরে পরিচারিকা শবনম শেখ সেলিনা ডিকস্টার বাড়িতে কাজ করেন। ৪৫ বছর বয়সী শবনমের একটি দত্তক নেওয়া পুত্র রয়েছে। দত্তক পুত্র শেহজাদকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় এই খুন ও ডাকাতির মামলায়। কারণ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শেহজাদ ওই মাস্ক পরে আসা ব্যক্তির জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। পুলিশ মনে করে, ওই ব্য়ক্তি শেহজাদের নিজের বাবা মহম্মদ উমর শেখ। এদিকে, সেলিনা খুনের পর ভাসাই থেকে গা ঢাকা দেওয়া উমরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
('কষ্টের রোজগারের টাকা' ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারের কথায় লগ্নি, পঞ্জি অ্যাপ নিয়ে সতর্ক করলেন নির্মলা)
( এক 'তিলে' মরবে চুলের বহু সমস্যা! চুল ঝরা, খুশকি রুখতে এইভাবে বানান বিশেষ তেল)
উল্লেখ্য, সেলিনা ডিকস্টার এই মৃত্যু অনেককেই নাড়া দিয়েছে। নিজের ২৬ বছর বয়সী নাতির সঙ্গে থাকতেন ৭০ এর বৃদ্ধা সেলিনা। তাঁর দুই মেয়ে থাকেন কুয়েতে, একজন মীরা রোডে থাকেন। জানা গিয়েছে, সেলিনা ডিকস্টার বাড়িতে ১৯৯৬ সাল থেকে কাজ করেন শবনম। পোলিওতে অসুস্থ শবনম, এরপর কখনও কাজ ছেড়েছে, কখনও ধরেছে সেলিনার বাড়িতে। জানা যায়,ডিকস্টার বাড়িতে রান্না থেকে বাসন মাজা, সেবা করার কজা করচ অভিযুক্ত শবনম। তাকে সেবাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসত শেহজাদ। ঘটনার দিন সেলিনার নাতি নীল যখন অফিসে যান, তখনই এই হত্যাকাণ্ড শবনম, শেহজাদ ও উমর মিলে করে বলে অভিযোগ। পুলিশি জেরার মুখে উমর জানিয়েছেন, বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে সেলিনাকে।