সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু ও কাশ্মীরে ৮৯০ টি কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর হয়েছে। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, গত ৭০ বছরে জম্মু এবং কাশ্মীরের মানুষ যে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তা প্রদান করা হচ্ছে।
সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, ২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জম্মু ও কাশ্মীর। তার আগে উপত্যকায় 'ভুয়ো' স্বাভাবিক অবস্থা ছিল। ক্রমশ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন ক্রমশ ভালো হচ্ছে। আগে পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেতে হলেও এখন পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে। সীতারামনের কথায়, ‘(জম্মু ও কাশ্মীর) থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার জরুরি ছিল। যা বিলম্বিত হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা পূরণ করেছি।’
সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথমদিনেই লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীরের বাজেট পেশ করেন সীতারামন। বিনা ঝঞ্জাটে ১.৪২ লাখ কোটি টাকার বাজেট সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে যায়।যদিও কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগ করেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় নরেন্দ্র মোদী সরকার যে সব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তার কোনওটাই পূরণ হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।
যদিও বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সীতারামন। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পর ওখানে (জম্মু ও কাশ্মীর) ৮৯০ টি কেন্দ্রীয় আইন কার্যকর হয়েছে। গত ৭০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে যে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তা প্রদান করা হবে। তফসিলি জাতি বা উপজাতিভুক্ত মানুষের জন্য বি আর আম্বেদকর যা করেছেন, তা এখন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর হয়েছে।’