একই বিমানে ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই বিমানের এক যাত্রী একটি বিশেষ ব্যবসায়ী ভাবনার কথা জানাতে চেয়েছিলেন রেলমন্ত্রীকে। আর সেই যাত্রী অক্ষয় সাতনালিওয়ালা, একজন উদ্যোগপতি রেলমন্ত্রীকে একটি ব্যবসা সংক্রান্ত ভাবনা বলতে চেয়েছিলেন। দিল্লি থেকে কলকাতাগামী সেই বিমানে রেলমন্ত্রী থাকলেও সেই আসন পর্যন্ত যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু তবুও তাঁর কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। সেকারণে তিনি একটি ন্যাপকিনে চিঠি লেখেন। এরপর বহু চেষ্টা করে তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছে দেন।
সেই ন্যাপকিনে তিনি লেখেন, স্যার আমি মেসার্স ইস্টার্ন অর্গানিক ফার্টিলাইজার প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে রয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে সলিড ওয়েস্ট ম্য়ানেজমেন্ট চালাই আমি।
আপনি যদি অনুমতি দেন তবে আমি জানাতে পারব কীভাবে রেল এই সাপ্লাই চেইনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এটা মোদীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অংশ হতে পারে।
এদিকে লেখার সময় নীল কালি আবার ফুরিয়ে যায়। তিনি এরপর কালো কালিতে লিখতে শুরু করেন।
এদিকে কলকাতায় বিমান নামার ঠিক ৬ মিনিট পরে তিনি পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের দফতর থেকে একটি ফোন পান। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার ওই ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্যোগ নেন। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে কতটা কাজ হবে সেটা দেখার ব্যাপারে বলা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার কলকাতায় ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে মিটিং করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কীভাবে এই কঠিন বর্জ্যকে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে তিনি বিস্তারিতভাবে জানান। তবে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয় রেলপথে এই সলিড ওয়েস্ট বহন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কলকাতার চিৎপুর ইয়ার্ড থেকে কীভাবে এই কঠিন বর্জ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো যাবে তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এগুলিকে থেকে ফের নির্দিষ্ট জিনিসপত্র তৈরির উদ্য়োগ নেওয়া হবে।
ওই উদ্যোগপতি জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করে যেভাবে মিটিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
কার্যত তিনি তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত আইডিয়া রেলমন্ত্রকের কাছে তুলে ধরেন।