চলতি মাসের ২১ থেকে ২৩ তারিখ নিউটাউনের কনভেনশন সেন্টারে বসবে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস)। এই সম্মেলনে আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকছেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা। আমন্ত্রিত আদানি গোষ্ঠীও।
যে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংসদের সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ‘টাকা নিয়ে’ আদানিদের বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে এথিক্স কমিটি খসড়া রিপোর্ট পেশ করেছে। যে রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই আদানি গোষ্ঠী আমন্ত্রিত এবারের বিজিবিএস-এ।
কেন গোষ্ঠীর কাজকর্ম নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধিতা থাকলেও তাদের বিজিবিএস-এ আমন্ত্রণ জানানো হল? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের শিল্পোন্নতির পথে বাধা হোক এমন কোনও সংঘাত তৃণমূল চায় না।
দিল্লিতে আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা প্রাঙ্গণে বাংলার প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। এর পর সাংবাদিকরা আদানি প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে সেভাবে দেখছি না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতি বাধা হোক, সেটা আমরা চাই না। তাজপুর বন্দরে বিশাল প্রকল্প করার কথা আদানিদের। তাদের এলওআই দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের কিছু ছাড়পত্র দরকার, তারপরই কাজ শুরু হবে।’
(পড়তে পারেন। দিদির বাড়িতে এসে হাজির ভাইরা, মুখ্যমন্ত্রী কাদের ভাইফোঁটা দিলেন নিজের বাসভবনে?)
সরকার বিভিন্ন বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীকে আড়াল করছে, এই অভিযোগ তুলে এসেছে তৃণমূল। অভিযোগ থাকলে রাজ্যে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যে আদানি গোষ্ঠীকে সবুজ কার্পেট পেতে দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করেছেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরে টাটার কারখানার বিরোধিতা করে রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও ২০১১-তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য শিল্প করতে চাইলে টাটাকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন। তার পর রাজ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে টাটা গোষ্ঠী। বছর খানেক আগেই খড়্গপরের ‘টাটা মেটালিকসে’ ৬০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে তারা। সমালোচনা এবং সহযোগিতা, টাটাদের মতো আদানির ক্ষেত্রেও এই অবস্থান বজায় রাখছে তৃণমূল।