ভারতের আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলির এখন অবস্থা কেমন? সেই পর্যালোচনাই করছে গ্লোবাল স্টক ইনডেক্স কম্পাইলার MSCI । তারা জানিয়েছে সমগ্র আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারগুলির অবস্থান পর্যালোচনা করছে তারা।
গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল মার্কিন শর্ট সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার কারচুপি, শেল কোম্পানি তৈরি ও বিপুল ঋণের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের পর তুমুল বিতর্কের ঝড় ওঠে। এর পর বাজার থেকে প্রায় ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
তবে আপাতত কিছুটা ধস বন্ধ হয়েছে। সম্প্রতি ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ আগেভাগে মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। আর তারপর থেকে কিছুটা হলেও শেয়ার চাঙ্গা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই জানতে চান, আদানির শেয়ার এবার বিনিয়োগযোগ্য কিনা। আরও পড়ুন: Adani-র বন্দর ব্যবসার ৫,০০০ কোটি টাকার ঋণ আগেভাগেই মিটিয়ে দেওয়া হবে: করণ আদানি
তবে বৃহস্পতিবার শুরুর দিকে ফের আদানি গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সংস্থার শেয়ার নিম্নমুখী হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজেস-এর শেয়ার দিনের শুরুতেই প্রায় ৯.১% হ্রাস পেয়েছে।
এমনই সময়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে মার্কিন স্টক কম্পাইলার MSCI। তারা এক জানিয়েছে, আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সিকিউরিটিজের বিনিয়োগ যোগ্যতা পর্যালোচনা করছে তারা। এরপরেই সম্ভবত ফের অশনি সংকেত দেখেন বিনিয়োগকারীদের একাংশ। দ্রুত শেয়ার বেচে দিতে শুরু করেন। আর সেই কারণে ফের লাল দাগে চলে আসে আদানি গোষ্ঠীর ৯টি সংস্থা।
পর্যালোচনাকারী সংস্থা বলেছে, নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। আমাদের নীতি বলছে, এগুলি আর ফ্রি ফ্লোট হিসাবে দেখা উচিত হবে না।
ফ্রি ফ্লোট, পাবলিক ফ্লোট নামেও পরিচিত। এর মানে হল এমন কোনও শেয়ার যা যে কেউ লেনদেন করতে পারেন এবং কোনও দেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। অর্থাত্, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের বিষয়ে বেশ আশঙ্কাজনক ইঙ্গিতই দিয়েছে মার্কিন সংস্থা।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভিনদেশে শেল কোম্পানি খুলে নিজেদেরই শেয়ার কিনে কিনে স্টকের দাম বাড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগও তোলা হয়েছে উক্ত রিপোর্টে। বলা হয়েছে, বড় সরকারি সংস্থাগুলি আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। আবার বিভিন্ন সরকারি সংস্থাই সেই অতি-মূল্যায়নকৃত শেয়ারগুলি বন্ধক রেখে আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দিয়েছে। ফলে ঋণখেলাপি হলে গোটা আদানি সাম্রাজ্যই টলে যেতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।
আদানি গোষ্ঠী যদিও শুরু থেকেই এই দাবি নস্যাত্ করেছে। তারা জানিয়েছে, এর আগেও আদালতে এই দাবিগুলি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পেতে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ আগেভাগেই মিটিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে সংস্থা। আরও পড়ুন: আদানির তাজপুর বন্দর থেকে রঘুনাথপুর অবধি অর্থনৈতিক করিডর গড়তে চায় রাজ্য
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup