কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে প্রথম থেকেই মোদী সরকারকে তোপ দেগে এসেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ এই নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে টুইটে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতাকে৷ তবে এবার টুইটার ছেড়ে সরাসরি সংসদে এই বিষয়ে আক্রমণ শানাতে চান রাহুল গান্ধী৷ আর তাই শীতকালীন অধিবেশনে কৃষক মৃত্যু ইস্যুতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেছেন রাহুল গান্ধী৷ লোকসভার পাশাপাশি সংসদের উচ্চ কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস৷
তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন যে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে আলোচনার দাবিতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী৷ অপরদিকে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন আনার জন্য কৃষকরা যে দাবি জানিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা চেয়ে রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুদা৷ কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভের সময় মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
সংসদে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিক্ষোভের সময় যারা মারা যায় তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিতে চায় কি না কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক সংসদে এই প্রশ্নের লিখিত জবাবে জানায়, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে কৃষক মৃত্যু বিষয়ে কোনও রেকর্ড নেই এবং তাই প্রশ্নই ওঠে না। এই বিষয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, যদি সরকারের কাছে ৭০০ জন কৃষকের রেকর্ড না থাকে তাহলে তা কৃষকদের অপমান। ৩টি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় ৭০০ জনেরও বেশি কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। কেন্দ্র কীভাবে বলতে পারে যে তাদের কাছে এর কোনও রেকর্ড নেই?
উল্লেখ্য, বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলকে উপেক্ষা করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই বিল বাতিলের প্রস্তাব আনেন। তিনি জানিয়ে দেন এনিয়ে কোনও আলোচনার প্রয়োজন নেই, কারণ সকলেই এই বিল বাতিলের পক্ষে রয়েছেন। অবশ্য ফসলের ন্যুনতন দাম, মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন আজও অব্যাহত। আর এই ইস্যুতেই এবার কেন্দ্রকে চেপে ধরতে চায় বিরোধীরা।