সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে প্লেন ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল প্লেন। শেষ পর্যন্ত প্লেনটি রাত ৯টা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল। এরপর প্লেনটি দিল্লি থেকে পুনেতে পৌঁছায় রাত ১১টা নাগাদ। এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের এই দশায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। বিমানের ভেতর অন্তত ১০০ যাত্রীকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে অপেক্ষা করতে হয়।
কিন্তু কেন এভাবে প্লেনটিকে দাঁড় করিয়ে রাখতে হল? সূত্রের খবর, প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ফ্লাইটটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মূলত পাইলটের অভাবে বিমান সঠিক সময়ে ছাড়া যায়নি। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবে ফ্লাইটটি দাঁড় করিয়ে রাখার জেরে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যান যাত্রীরা। এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার এই বেহাল দশার জেরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে যাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রথম দিকে বিমান সংস্থা নানা ধরনের অজুহাত দিচ্ছিল। ফ্লাইটের কিছু অভ্যন্তরীন কারণে দেরি হচ্ছে বলে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য় আসল কারণটা সামনে আসে। কারণ কার্যত তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যাত্রীরা। কেন দেরি হচ্ছে সেটা জানতে চেয়েছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত গোটা বিষয়টা জানায় সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়ে দেয় পাইলট না পাওয়ার জেরেই বিমান ছাড়তে দেরি হচ্ছে।
যাত্রীদের দাবি, AI853 এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট। এটা ৭টা ১০এ ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা ছাড়তে দেরি হয়ে যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও কারণ ওরা বলছিল না। টেকনিকাল কারণে বিমান ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছিল। পরে জানা যায় ক্যাপ্টেন পাওয়া যায়নি সেকারণে দেরি হয়েছে।
এরপরই এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক যাত্রী এনিয়ে সরব হন। তারা গোটা বিষয়টি নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে কাঠগড়ায় তোলেন।
এক যাত্রী এক্সে লিখেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার এই দেরিতে একেবারে তিতিবিরক্ত হয়ে গেলাম। নানা ধরনের অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। এই টুইটের জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আমরা জানি বিমানে দেরি হলে বিরক্ত লাগে। আমরা চাই না যাত্রীদের সফর সূচিতে কোনও বদল হোক। অপারেশনাল কারণে এটা হয়েছিল। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এদিকে প্রায় ১০০ যাত্রীকে ভোগান্তির মধ্য়ে পড়তে হয়। প্রায় দু ঘণ্টা তাদের পাইলটের জন্য় অপেক্ষা করতে হয়।