প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনা করেছিলেন গতকালই। আর আজই কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করলেন কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা একে অ্যান্টনি গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলেছেন তিনি। তাঁর ছেলে এভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দল ছাড়ায় অনেকেই হতবাক। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি একে অ্যান্টনি। এদিকে তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর জানান, অনিল পদত্যাগ করার আগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। তবে অনিলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি শশী। যদিও বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে দলের 'লাইন' অনুসরণ করেছেন শশী। (আরও পড়ুন: মোদীকে নিয়ে BBC-র তথ্যচিত্র দেখানো হবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে, উদ্যোগে SFI)
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রের বিরোধিতায় মঙ্গলবারই সরব হয়েছিলেন অনিল। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার সকালে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন তিনি। টুইটারে অনিল লেখেন, 'কংগ্রেসের জাতীয় এবং কেরালা কমিটি থেকে আমি ইস্তফা দিলাম। যাঁরা বাকস্বাধীনতা নিয়ে লড়াই করেন, তাঁরাই আমাকে একটি টুইট মুছে ফেলার কথা বলছেন। আমি তা মানতে অস্বীকার করেছি। যাঁরা ভালোবাসার কথা বলেন, তাঁরাই আবার ফেসবুকের দেওয়াল ঘৃণা এবং কটুকথায় ভরিয়ে দিচ্ছেন! একে ভণ্ডামি বলে! নীচে আমি আমার পদত্যাগপত্র জুড়ে দিলাম।'
অনিলের কথায়, 'এত দিনে আমি বুঝে গিয়েছি যে নেতৃত্বের আশপাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা আসলে একদল দালাল এবং চামচা। তাঁরা কোনও প্রশ্ন না করেই সমস্ত কথা মেনে নেয়। এটিই মেধার একমাত্র মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আমি এক্ষেত্রে সহমত নই।' অনিলের অভিযোগ, তিনি বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোনা করার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছেন। তিনি বলেন, 'গতকাল থেকে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, তার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে, কংগ্রেসে আমার যেসমস্ত দায়িত্ব এবং ভূমিকা রয়েছে, সেসব থেকে অব্যাহতি নেওয়াই শ্রেয়।' উল্লেখ্য, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ডিজিটাল মিডিয়া শাখার আহ্বায়ক ছিলেন অনিল। ছাড়াও, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সোশাল মিডিয়া এবং ডিজিট্যাল কমিউনিকেশন সেলের জাতীয় কো-অর্ডিনেটর ছিলেন অ্যান্টনি জুনিয়র।
অনিল অ্যান্টনি বিবিসির ‘বিতর্কিত তথ্যচিত্র’ নিয়ে বিজেপির দাবিকেই সমর্থন করেছিলেন। অনিল বলেন, 'দলের তরফে আমাকে আমার টুইট মুছে দিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আমি তা মেনে নিইনি। যারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেন, তারা আমাকে টুইট মুছে ফেলার জন্য চাপ দিচ্ছেন।' এর আগে গতকাল টুইট করে অনিল লিখেছিলেন, 'বিজেপির সঙ্গে বড় মত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমি মনে করি এই ডকুমেন্টারি আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুন্ন করবে। যারা ব্রিটিশ চ্যানেল এবং ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশসচিব জ্যাক স্ট্রের মতামতকে সমর্থন করে এবং মেনে চলে তারা, দেশের পক্ষে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছেন। কারণ ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের পিছনে ছিল জ্যাক স্ট্রে।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup