বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Board Exam Alarm by Temple-Mosque: বোর্ড পরীক্ষার্থীদের জাগাতে ভোর সাড়ে ৪টের সময় 'অ্যালার্ম' বাজাবে মন্দির-মসজিদ

Board Exam Alarm by Temple-Mosque: বোর্ড পরীক্ষার্থীদের জাগাতে ভোর সাড়ে ৪টের সময় 'অ্যালার্ম' বাজাবে মন্দির-মসজিদ

হরিয়ানায় বোর্ড পরীক্ষার্থীদের ঘুম ভাঙাতে ভোর সাড়ে ৪টের সময় ‘অ্যালার্ম’ বাজাবে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার।

বোর্ড পরীক্ষার্থীদের ঘুম ভাঙাতে ভোর সাড়ে ৪টের সময় ‘অ্যালার্ম’ বাজাবে মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার। ঠান্ডার মধ্যে ঘুম ভেঙে যাবে সবার!

হরিয়ানা শিক্ষা দফতরের এক অভিনব উদ্যোগে এবার রাজ্য জুড়ে 'গণ অ্যালার্ম' বাজবে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বারে। দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে জাগাতে ভোর সাড়ে ৪টের সময় সকল ধর্মীয় স্থান থেকে মাইকে অ্যালার্ম বাজানো হবে বলে দাবি করা হল এক রিপোর্টে। তবে এই অ্যালার্ম শুধুমাত্র বোর্ড পরীক্ষার্থীদের জন্য হলেও স্বভাবতই এতে ঘুম ভাঙবে সকলেরই। এই আবহে এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বোর্ড পরীক্ষায় বসতে চলা পড়ুয়ারা যাতে ভোর বেলায় উঠে পড়তে বসে যান, এর জনই এই 'গণ অ্যালার্মে'র কথা ভেভে সেরাজ্যের শিক্ষা দফতর। প্রসঙ্গত, সে রাজ্যে বোর্ড পরীক্ষার্থীদের নম্বর অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অতটা ভালো আসে না। এই আবহে বোর্ড পরীক্ষার ফল ভালো করার উদ্যোগ হিসেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে চাইছে হরিয়ানার শিক্ষা দফতর। এদিকে শুধু অ্যালার্মই নয়, বড়দিন থেকে দুই সপ্তাহের শীতকালীন ছুটিও বাতিল হয়েছে বোর্ড পরীক্ষার্থীদের। এদিকে ধর্মীয় স্থানের তরফে থেকে 'অ্যালার্ম' বাজানোর উদ্দেশ্য সৎ হলেও অনেকেরই মত, এতে আপত্তি তুলতে পারেন সমাজের একাংশ।

পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে এর জন্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা পঞ্চায়েত প্রধানদেন সঙ্গে দেখা করে লাউডস্পিকার বন্ধ রাখতে বলবেন। হরিয়ানা প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর অংশজ সিং গত বৃহস্পতিবার এই সব নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাঁর কথায়, 'বোর্ড পরীক্ষার আর মাত্র ৭০ দিন বাকি। এই বছর স্কুল পড়ুয়াদের জন্য খুব ব্যস্ততায় কেটেছে। ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ, বিশেষ প্রোগ্রাম হয়েছে স্কুলে স্কুলে। এই আবহে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেই ঘাটতি মেটাতে শেষ মুহূর্তে এই পদক্ষেপ। প্রায় ছয় সপ্তাহ নষ্ট হয়েছে স্কুলের। সেই সময় মেক-আপ দিতে হবে।' এদিকে বোর্ড পরীক্ষা পর্যন্ত পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ৭২ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিটি স্কুলে বিশেষ ক্লাস করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের মধ্যে পড়ুয়ারা পড়তে বসে যান। বিয়ের মরশুমে রাতে ডিজে বাজানোর ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

বন্ধ করুন