দুমাসের কুলিং পিরিয়ড শেষ হোক। তার আগে অভিযুক্তদের গ্রেফতারি নয়। বধূ নির্যাতনের মামলায় সোমবার এমনই নির্দেশ এলাহাবাদ আদালতের। আর সেই সঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ এফআইআরে যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। নির্যাতন, খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের একটি মামলায় বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী এফআইআরের ভাষা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। ওই এফআইআরে বধূ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এফআইআরের ভাষায় শালীনতা রক্ষা করা দরকার। কোনও ফৌজদারি মামলায় প্রবেশের পথ হল এই এফআইআর। কিন্তু তার ভাষা ঠিকঠাক হওয়া দরকার। এটা সফট পর্ন নয় যে গ্রাফিকে বর্ণনা দিতে হবে। বলা হয়েছে আদালতের তরফে।
ঠিক কী লিখেছিলেন ওই বধূ? সূত্রের খবর তিনি লিখেছিলেন, আমার স্বামী পণের জন্য যৌন নির্যাতন চালান। আমার সঙ্গে পায়ুকাম করতে চান। টয়লেটে কমোডে আমার মুখটা চেপে ধরেন। শশুর ও দেওর আমার শরীর চায়।
উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার বাসিন্দা পিলখুয়া থানায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি শ্বশুরবাড়ির সকলেই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান। মূলত অতিরিক্তি পণের দাবিতে তাঁরা এই দাবি করতেন। শাশুড়ি ও ননদ তাঁকে জোর করে গর্ভপাতও করান।
তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ আমাদের চিরাচরিত ভারতীয় যৌথ পরিবারে শশুর ও দেওর বৌমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইছেন এই অভিযোগ হজম করা কঠিন।
দুমাসের কুলিং পিরিয়ডের মধ্যে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার কমিটিকে গোটা ঘটনা জানানো দরকার। এমনকী দাম্পত্য কলহের অভিযোগ রঙ চড়িয়ে লেখা হয় বলেও পর্যবেক্ষণ আদালতের।