কী হতে চলেছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা করা হলেও একটি মহলের দাবি, নিজের 'অধিনায়কত্বে' দল শুরু করতে চলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বা আসন সমঝোতা করে আগামী বছর পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের ময়দানে নামতে পারেন অমরিন্দর।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস ছাড়ার মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেও নয়া দলের 'অধিনায়কত্বের' যে কানাঘুষো চলছে, সে বিষয়ে অমরিন্দর মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সেই কানাঘুষো খারিজও করে দেননি, আবার তাতে সিলমোহরও দেননি। শুধুমাত্র অমরিন্দর দাবি করেছেন, তিনি মোটেও এমন কোনও নেতা নন, যিনি শুধুমাত্র বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে রাজনীতি করে থাকেন। ক্যাপ্টেনের দাবি, ‘আমি মাঠে নেমে জনগণের আদালতে লড়াই করব।’ কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ জি-২৩ নেতাদেরও সেই আর্জি জানাবেন বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অমরিন্দর। যে নেতারা কংগ্রেসের অন্দরে সাংগঠনিক রদবদলের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন। তাঁর কথায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশের পরিবর্তনে মাঠে নেমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর বার্তা দেব জি-২৩-এর নেতাদের।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবের ‘অধিনায়কত্ব’ ছেড়ে দেন অমরিন্দর। রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেওয়ার পর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, 'আজ সকালেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সকালেই কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। গত দু'মাসে তৃতীয়বার এরকম ঘটনা (পরিষদীয় বৈঠক) ঘটল। বিধায়কদের দু'বার দিল্লিতে ডেকে নেওয়া হল। তৃতীয়বার বৈঠক করা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে যে আমার উপর যেন সন্দেহ আছে। আমি চালাতে পারছি যেন। আমি অপমানিত বোধ করছি। যাঁর উপর ভরসা আছে, তাঁকে (মুখ্যমন্ত্রী) করে দিক হাইকমান্ড।'
সেই ইস্তফার পর একাধিক পট-পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে পঞ্জাব। আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে ইস্তফা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। যে সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের সংঘাত চরমে উঠেছিল। কংগ্রেসের অন্দরেই তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক রেষারেষি। তারইমধ্যে আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন অমরিন্দর। যে সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আরও বেড়েছে। জল্পনা ছড়ায়, তাহলে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন অমরিন্দর? সেই সম্ভাবনা অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।