বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ঘুষের টাকা তাগাদার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, গোয়েন্দাদের জালে কৃষি আধিকারিক

ঘুষের টাকা তাগাদার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, গোয়েন্দাদের জালে কৃষি আধিকারিক

ঘুষের টাকা পেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।ফাইল ছবি : রয়টার্স (Reuters)

আর এই কাজের জন্যই তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে তাবড় গোয়েন্দাদের!‌

টাকা হাতানোর নানা ছক সামনে এসেছে বারবার। কিন্তু ঘুষের টাকার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এটা বিরল। তবে এই ঘটনা বাংলায় ঘটেনি। শুধু তাই নয়, ঘুষের টাকা সময়মতো না পেয়ে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাগাদা পর্যন্ত দেওয়া হল। আর এই কাজের জন্যই তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে তাবড় গোয়েন্দাদের!‌

এই ঘটনা ঘটেছে তেলঙ্গানায়। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, ভাদ্রদ্রির কোথাগুদেম জেলার এক কৃষি আধিকারিক ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সেই গ্রুপে সার এবং পেস্টিসাইডের দোকানের মালিকদের ফোন নম্বর যুক্ত করা হয়েছিল। সেখানেই চলত কথোপকথন। অভিযোগ, ওই গ্রুপেই এই কৃষি আধিকারিক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রত্যেক মাসের নির্দিষ্ট সময়ে যেন ঘুষের অঙ্ক তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। তাহলে দোকানে কোনও অভিযান চালাবে না কৃষি দফতর।

কত টাকা দাবি করেছিলেন? পুলিশ সূত্রে খবর, মাথাপিছু ১৫ হাজার টাকা ঘুষ ধার্য করেছিলেন মহেশ চান্দ নামের ওই কৃষি আধিকারিক। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ঘুষের দাবি করতে দেখে চমকে উঠেছিলেন ব্যবসায়ীরাও। গত ৩০ জুলাই ওই গ্রুপেরই ছ’জন সদস্য সংশ্লিষ্ট কৃষি আধিকারিকের বিরুদ্ধে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর কাছে অভিযোগ জানান। সেখানে তুলে ধরা হয় এই হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে গোয়েন্দাদের।

তারপর অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলে ওই আধিকারিককে হাতেনাতে ধরার জন্য ফাঁদ পারে গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত ৯০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে এলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাতা ফাঁদে পা দিতেই কেল্লাফতে। তদন্তে নেমে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ঘুষ নেওয়ার পাশাপাশি চন্দ্রুগন্দায় একটি সার এবং পেস্টিসাইডের দোকানও খুলেছিল। সেখানে সার কিংবা পেস্টিসাইড বিক্রি করত। বাজারের তুলনায় কম দামে তা বিক্রি করত বলে বাকিদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তার জেরেই অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ীরা। নেওয়া হয় প্রতিশোধ।

বন্ধ করুন