বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিট। জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তাওয়ারের কাছে নদীর ধারে জরুরী অবতরণ করল সেনার হেলিকপ্টার এএলএইচ ধ্রুব ( ALH Dhruv Helicopter)। সেই ঘটনায় দুজন পাইলট ও অপর একজন পার্সোনেল জখম হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরেই তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করা হয়। উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটি।
কাশ্মীরের কিস্তাওয়ার রিজিয়নে এই হেলিকপ্টার একটি অপারেশনাল মিশনে যাচ্ছিল। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই সেনার হেলিকপ্টার দ্রুত মারুয়া নদীর ধারে নেমে পড়ে। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে এই ঘটনা হয়েছে।
পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে দ্রুত খবর পাঠায়। এরপর আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত হেলিকপ্টারকে নামানো হয়েছিল নদীর ধারে। এদিকে নদীর অসম জমিতে হেলিকপ্টারটি নামাতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়েন পাইলট। কারণ কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই এই হেলিকপ্টারটি নদীর ধারে নামাতে তাঁরা বাধ্য় হয়েছিলেন।
এদিকে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের জেরে দুজন পাইলট ও একজন টেকনিশিয়ানকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তাঁরা তিনজনই জখম হয়েছেন। তাঁদের তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে তিনজনকেই ভর্তি করা হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই ত্রুটি দেখা দিল তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে এনিয়ে এবার কোর্ট অফ এনকোয়ারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিস্তাওয়ার এসএসপি খলিল পসোয়াল জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার খবর শোনার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা হয়েছিল। ওই নদীর ধারে হেলিকপ্টারের ভাঙা অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন এই হেলিকপ্টারের জরুরী অবতরণের মূল কারণটা কী? এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীরের আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ। দৃশ্যমান্যতা ক্রমেই কমতে শুরু করেছে। এদিকে এই খারাপ আবহাওয়ার জন্য অন্যান্য পরিবহণ সেভাবে চলছে না। কেবলমাত্র হেলিকপ্টারই চলছিল। আর সেই হেলিকপ্টারই জরুরী অবতরণ করল নদীর ধারে। অল্পের জন্য় রক্ষা পেয়েছেন পাইলট সহ অন্যান্যরা।