গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে তুষারপাত চলছে সিকিমে। পুরু বরফের স্তরে ঢেকে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। বুধবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় ভারতীয় সেনারা বুধবার রাতে ১২১৭ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদের নিরাপদে গ্যাংটকে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের কবে দার্জিলিং-সিকিমে তুষারপাত? ডিসেম্বরেই বাংলায় খুশির খবর!
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পর্যটকরা আটকে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছে পুরুষ, মহিলা এবং শিশু। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং তুষারপাতের কারণে পূর্ব সিকিমের বিভিন্ন স্থানে তারা আটকে পড়েছিল৷ ঘটনার খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পস অক্লান্তভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সমস্ত আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়। সেখানে তাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি, গরম পোশাক, চিকিৎসা সহায়তা এবং গরম খাবার সহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সরবরাহ করা হয়।
সেনাবাহিনী আটকে পড়া পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য সেনা ছাউনি খালি করে দেয়। আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী যেভাবে উদ্ধারকাজ চালিয়েছে তার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই তুষারপাতের কারণে সিকিমে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সেক্ষেত্রে তাদের উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী।
হিমালয়ের উঁচু এলাকায় সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনারাই সেক্ষেত্রে পর্যটকদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। অন্যদিকে, লাচুংয়েও তুষারপাত হয়েছে। তার জেরে সেখানে ২৫-৩০ জন পর্যটক আটকে পড়েন। সেনারা তাঁদেরও উদ্ধার করেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিন সিকিমে ব্যাপক তুষারপাতের সম্ভবনা রয়েছে। এই অবস্থায় আগামী দিনে তুষারপাত বেশি হলে সে ক্ষেত্রে সিকিমের বহু পর্যটন কেন্দ্র যেমন ছাঙ্গু, নাথুলা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে প্রশাসন। এই ঘটনার পরে সেনাবাহিনী তরফে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের আটকে থাকার খবর পেয়ে তারা সেখানে ছুটে যান। রাতভর উদ্ধার কাজ চালানো হয়। পর্যটকদের উদ্ধার করার পর সেনাবাহিনীর ব্যারাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।