ছবি: আলাপ
পরিচালক: প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি
অভিনয়ে: আবির চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী
রেটিং: ৪.৪/৫
বৈশাখের জ্বালাপোড়া গরমে সকলেই যেন নাজেহাল। টক্সিক প্রাক্তনের মতোই লাগাতার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল যখন এই বিশ্রী গরম ঠিক তখনই যেন দমকা প্রেমের মিঠে বাতাস নিয়ে এল প্রেমেন্দু বিকাশ চাকির আলাপ। কেমন হল আবির চট্টোপাধ্যায় এবং মিমি চক্রবর্তী অভিনীত আলাপ।
আরও পড়ুন: 'মা - বাবা বাড়িতে না থাকলেই...' ছোটবেলায় আত্মীয়ের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হন সুদীপ!
কী নিয়ে জমল আলাপ
পাবলো আর অদিতি একই বাড়ির ভাড়াটে। যদিও পাবলো প্রথমে বিষয়টা জানত না। তাঁরা যে আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকত সেই অবসানের কেয়ারটেকারদের চঞ্চল মস্তিষ্কের ফল হচ্ছে এটি। পাবলোর রাতে অফিস, তাই সে এসে সকালে ঘুমাত। অন্যদিকে অদিতি সকালে অফিস করে রাতে থাকত। তবুও দুজনের গল্প হতো। কথা হতো। কিন্তু চিরকুটে লিখে লিখে। দুজনে বেশ সমান তালে দায়িত্ব ভাগ করে নিত। কিন্তু একদিন পাবলো সত্যিটা ধরতে পারল। বুঝল তাঁর ফ্ল্যাটমেট আসলে ছেলে নয় মেয়ে। আর সেই সময়ই কালক্রমে তাঁর মা বাবাও বাড়িতে এসে পড়ে। এবং গোটা বিষয়টাই ভুল বুঝে ফেলে। তাঁরা একপ্রকার ছেলের জোরজবরদস্তি বিয়ে দিতে চায় স্যারের মেয়ে স্বাতীলেখা সেনের সঙ্গে। অন্যদিকে তেমন ভাবেই চাকরি নিয়ে আবার বাইরে চলে যায় অদিতি। আর এই সব কিছু গণ্ডগোলের মধ্যে পাবলো আর অদিতি বোঝে,অনুভব করে তাঁরা একে অন্যকে ভালোবেসে ফেলেছে। তারপর...? এক হল তাঁরা? আলাপ জমলো? নাকি দুটো পথ সমান্তরাল থেকে গেল চিরতরের জন্য?
কেমন লাগল ছবিটি?
সহজ সরল বলতে যা বোঝায় আলাপ ছবিটি যেন ঠিক তাই। সারল্যে ভরপুর। আছে একাধিক মজার সিন, পাশের বাড়ির অতি উৎসাহী কাকিমার অকারণ নাক গলানো থেকে অন্যান্য মজার উপাদান। তবে বেশি নজর কাড়ল চিরকুটে লিখে লিখে প্রেম! আবির মিমির এই নতুন রোম্যান্টিক জুটি যে বহুদূর এগোবে এবং দর্শকদের অনেকটা প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে এই ছবি দিয়ে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র স্বাতীলেখা হিসেবে আলাদা ভাবে ছাপ রাখলেন স্বস্তিকা দত্ত। মোটের উপর একবার এই ছবিটি দেখে আসাই যায়।
তবে এই ছবির বিষয়ে যেটা না বললেই নয় সেটা হল এটির গান। সখী গো গানটি নিঃসন্দেহে সুন্দর, তবে দিবারাত্রির কাব্য মন জয় করে নিয়েছে লিরিক্স এবং মিষ্টি সুরটা দিয়ে।